66 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 300TK. 269 You Save TK. 31 (10%)
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
Related Products
Product Specification & Summary
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
২৩ সেপ্টেম্বর ‘৮১। প্রহসনমূলক এক বিচারের কারণে ফাঁসির রজ্জুতে এক এক বিভিন্ন কারাগারে পৃথিবীর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার। পরবর্তীতে ৩০ সেপ্টেম্বর ‘৮৩ সালে একই অভিযোগে ফাঁসির রজ্জুতে প্রাণ দেন আরেকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার।
৩০ মে ‘৮১ সালে চট্রগ্রাম সার্কিট হাউজে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান নিহত হন। ব্যর্থ অভুত্থানের পর অভ্যুত্থানের নেতা হিসেবে চিহিৃত করে জেনারেল মঞ্জুরকেও হত্যা করা হয়। তরিঘড়ি জনতার দাবিকে পাশ কাটিয়ে হত্য রহস্য ধামাচাপা দিয়ে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলানো হয় এই (১২ ১) ১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- চট্রগ্রামে রাষ্ট্রপতি হত্যায় সেনাবিদ্রোহে এরা জড়িত ছিলেন। কিন্তু আজও প্রমাণিত হয়নি এদের জড়িত থাকার ব্যাপারটি। ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এদেরকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আর একারণে আজো উদ্ঘাটিত হয়নি কারা,কেন, কিভাবে রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াকে হত্যা করেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃত সরাসরি যদি কখনো উদ্ঘাটনের চেষ্টা করা হয় জিয়া হত্যার রহস্যের তাহলেই হয়তো জানা যাবে কারা , কেন রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াকে হত্যা করেছিল। ফাঁসির পূর্বে চিঠিতে বিগ্রেডিয়ার মহসীনের লেখা উক্তি ‘একদিন এই দেশের মাটি কথা বলবে। ইতিহাস পুনাবৃত্তি হয়’ পৃথিবীর ইতিহাসে শুধু বাংলাদেশেই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই পুরস্কার এর সার্থকতা। ‘ফাঁসির মঞ্চে তেরজন’ গ্রন্থটিতে আনোয়ার কবীর ২০ মে ‘৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়া নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রহসনমূলক সামরিক আদালতের বিচারে ফাঁসির মঞ্চে প্রাণ দেওয়া তেরজন বীরমুক্তিযোদ্ধা অফিসারের জীবন ইতিহাসকে তুলে ধরা্র চেষ্টা করেছেন এবং এই মৌলিক সত্যই প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, মানুষের মৃত্যুই তাঁর শেষ নয়।