* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
"ডাকঘর" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
‘ডাকঘর’ নাটকের রচনাকালীন প্রেক্ষাপট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ১৯১১ সালে রচিত হয়। এসময়টি রবীন্দ্রজীবনে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত। সমালােচকগণ মনে করেন, রবীন্দ্রনাথের জীবনে এরকম ক্রান্তিলগ্ন আর দেখা দেয় নি। এ সময়ে রবীন্দ্রনাথ খেয়া, গীতাঞ্জলি, গীতিমাল্য ও গীতালি কাব্যসমূহ রচনা করেন। এবং অল্পকাল পূর্বে জীবনস্মৃতি রচিত হয়। এছাড়া এ পর্যায়ে এক সবিশেষ অধ্যায় ভাবসমৃদ্ধ নাটক রাজা রচিত হতে দেখা যায়। এ তাে গেল রবীন্দ্রজীবনের বাহ্যগত দেখবার বিষয়। কিন্তু এসময় তিনি ব্যক্তিগত জীবনেও এক অভূতপূর্ব মানস পরিক্রমার মধ্য দিয়ে সময় অতিক্রম করেছেন। এ পর্যায়ে। এক অজানা আশঙ্কা ও মৃত্যুভাবনা রবীন্দ্রনাথকে গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলে। এ সময়কার একটি পত্রে রবীন্দ্রনাথ বলেন, “কিছুকাল থেকে মনে হচ্ছিল মৃত্যু আমাকে তার শেষ বাণ মেরেছে এবং সংসার থেকে আমার বিদায়ের সময় এসেছে কিন্তু যস্য ছায়ামৃতং তস্য মৃত্যুঃ- মৃত্যুও যার অমৃতও তারি ছায়াএতদিনে আবার সেই অমৃতের পরিচয় পাচ্ছি ।(১৯১২) এসময়ে রবীন্দ্রনাথ শারীরিকভাবেও ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ফলে তাঁকে ডাক্তার ও চিকিৎসাসেবার শরণাপন্ন হতে হয়। অন্য একটি পত্রে রবীন্দ্রনাথ এ সম্পর্কিত তথ্য-বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “কিছুকাল থেকেই আমার একটা nervous breakdown হয়েছে। তার সন্দেহ নাই। যখন আমার কানে এবং মাথায় বা দিকে ব্যথা করতে লাগল তখন বুঝেছিলুম সেটা ভালাে লক্ষণ নয়। যে কোন কাজ করতুম অত্যন্ত জোর করে করতে হত। আর মনের মধ্যে একটা গভীর বেদনা ও অশান্তি অকারণে লেগেই ছিল।
Report incorrect information