আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরে যে নিয়মিত নাট্যচর্চার শুরু হয় তার সূচনাতেই যেসব নাটকের কেন্দ্র আলোচিত হয়ে উঠেছিল তার মধ্যে অগ্রণী ছিল চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের নাট্য-ঐতিহ্য প্রাচীন। মুসলিম হল, ওয়াজিউল্লাহ ইন্সটিটিউট-এসব মিলনায়তনে এক সময় নিয়মিত নাট্যচর্চাও হতো। তাই ঢাকায় যেমন নাট্যমঞ্চ খুঁজতে হয়েছিল, চট্টগ্রামে তা হয়নি। চট্টগ্রামে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল নাট্যচর্চা। সে সময় পাণ্ডুলিপির সংকট যখন চরমে তখন বেশ ক'টি নাম শোনা গেল চট্টগ্রাম থেকে। তার মধ্যে অন্যতম রবিউল আলম। তিনি নাটক লেখেন, সাংগঠনিক কাজ করেন, নির্দেশনা দেন, অভিনয় করেন। যে কোনো আন্দোলনের শুরুতে নেতারা তাই করে থাকেন।
রবিউল আলমের নাটকের একটা বৈশিষ্ট্য লক্ষ করবার মতো। তাঁর অধিকাংশ নাটকের পটভূমি গৃহ-অভ্যন্তর। একটি বা দুটি নাটকে শুধু দেখা যায় পায়ে চলার পথ বা উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। ইবসেন এবং চেখভের নাটকে যেমন দেখতে পাই ড্রয়িং রুম বা বসবার ঘরেই সব ঘটনা ঘটছে। ইউরোপের অবক্ষয়, বেদনা সবকিছু প্রকাশিত হচ্ছে গৃহকোণে।