জেলখানা। বন্দীরা এখানে জুতোও তৈরী করে বিক্রির জন্য। জিমি ভ্যালেন্টাইন খুব মনযোগ দিয়ে জুতো সেলাই করছে। গার্ড এসে দাঁড়ায় জেলখানার জুতো কারখানার সামনে। জিমিকে উঠতে বলে সে। এরপর নিয়ে যায় অফিস ঘরে। সকালেই জিমির মুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছে গভর্নর। সেটাই তার হাতে তুলে দেয় কারাপ্রধান। জিমি খুব ক্লান্ত ভঙ্গিতে কাগজটা হাতে নেয়।
চার বছর সশ্রম সাজার মধ্যে সে ভোগ করেছে প্রায় দশ মাস। তার ধারণা ছিল- বেশী হলে তিন মাস জেলের ভেতর থাকতে হবে, এর বেশী একদিনও না। কারণ জিমির মতো মানুষ, যার বাইরে এতো ক্ষমতাবান বন্ধু-বান্ধব আছে তাকে এতোদিন আটকে রাখার প্রশ্নই আসে না।
'তো ভ্যালেন্টাইন,' কারাপ্রধান বলে, 'কাল সকালে তুমি মুক্তি পাচ্ছো। নিজেকে নতুন করে গুছিয়ে নাও। তুমি এমনিতে লোক খারাপ না। মানুষের সিন্দুক ভাঙা বন্ধ করে ভালো করে বাঁচতে শেখো।'