Category:চিরায়ত উপন্যাস
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
"লাল সালু" সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ রচিত একটি কালজয়ী বাংলা উপন্যাস, যা ১৯৪৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসে গ্রামীণ সমাজ, ধর্মীয় কুসংস্কার, লোকাচার এবং মানুষের বিশ্বাসের রাজনীতিকে গভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মজিদ, একজন সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি। সে শহর থেকে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে এসে নিজেকে ধর্মজ্ঞ ও পীর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। সে গ্রামে একটি পরিত্যক্ত কবরকে "ওলি আউলিয়ার মাজার" বলে ঘোষণা দেয় এবং সেখানে একটি লাল সালু (লাল কাপড়) বিছিয়ে দেয়—এটাই উপন্যাসের নামের উৎস।
মজিদ গ্রামের সাধারণ মানুষদের ধর্মের ভয় দেখিয়ে ও ভ্রান্ত বিশ্বাসে আচ্ছন্ন করে নিজের আধিপত্য গড়ে তোলে। সে গ্রামে নানা কুসংস্কার তৈরি করে, ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং তার কথাই যেন আল্লাহর আদেশ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে গ্রামের সহজ-সরল মানুষরা মজিদের কথায় অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করে।
উপন্যাসের পরিণতিতে দেখা যায়, মজিদের নিজের বিশ্বাসেও টান পড়ে। নিজের ভেতরের দ্বন্দ্ব, ভয়ের প্রভাব এবং মিথ্যার ভারে সে নিজেই এক মানসিক অস্থিরতায় ভোগে।
"লাল সালু" বাংলা সাহিত্যে আধুনিক উপন্যাসের একটি মাইলফলক। এটি শুধু ধর্মীয় প্রতারণা নয়, বরং মানুষের বিশ্বাস, ভয়ের মনস্তত্ত্ব ও সমাজব্যবস্থাকে গভীরভাবে তুলে ধরে। উপন্যাসটি একদিকে যেমন সামাজিক সমালোচনা, অন্যদিকে তেমনি এক নিখুঁত মনস্তাত্ত্বিক চিত্রণ।
Report incorrect information