Category:রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মলগ্নের সঙ্গে তাঁর নাম অবিচ্ছেদ্য হলেও জিয়াউর রহমানকে নিয়ে গম্ভীর ও পরিশ্রমী ইতিহাস-লিখন নিতান্তই কম। স্বাধীনতা ঘোষণার সন্ধিক্ষণ, '৭৫-পরবর্তী অনিশ্চয়তার ঘূর্ণিপাক কিংবা ১৯৭৬ থেকে রাষ্ট্র ও রাজনীতির গঠন-পুনর্গঠনের সময়ে, এমনকি অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনৈতিক সংকট উত্তরণ-প্রতিটি ক্রান্তিকালেই জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ছিল নির্ধারক ও দিশারির। ইতিহাস শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সংকটকালীন নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখেছে। তাঁর সেই ভূমিকায় তিনি জনতুষ্টিবাদী, মতবাদিক কিংবা মহাপুরুষের পোশাকে হাজির হননি, জাতির সামনে আবির্ভূত হয়েছেন স্পষ্ট কর্মসূচি ও নীত-নির্দেশনা নিয়ে। এজন্যই তিনি 'ডেমাগগ' নন, তিনি রাষ্ট্রনায়কসুলভ 'ফাংশনারি'। তিনি নিজেকে দেবতা মনে করতেন না, মনে করতেন 'ম্যান অব অ্যাকশন'। যে জাতীয়তাবাদের কথা তিনি বলতেন, তার ভিত্তি জাতগর্বী জিকিরের মধ্যে ছিল না। পরিচয়বাদী রাজনীতি দিয়ে তাঁর আগে যেভাবে দেশের জনগণকে বিভক্ত করে রাজনৈতিক সমীকরণ সাজানো হয়েছিল, সেখান থেকে রাজনীতিকে সরিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় 'সিভিক ন্যাশনালিজম'কে সামনে নিয়ে আসেন। মতাদর্শ নয়, বরং জাতীয় স্বার্থমুখী 'নীতি'ই ছিল তাঁর রাজনীতি ও রাষ্ট্রপরিচালনার ভিত্তি। কিন্তু গত দেড় দশক ধরে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক ইতিহাসচর্চা ও একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থার একটি লক্ষ্য ছিল জিয়াউর রহমানসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ব্যক্তিকে 'খলনায়ক' হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া। গণমাধ্যম থেকে শুরু করে জনস্মৃতি ও জনপরিসর থেকে তাঁদের মুছে দেওয়াকে রাজনৈতিক লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছিল ফ্যাসিবাদপন্থি দল, বুদ্ধিজীবী ও সংবাদমাধ্যম। কিন্তু জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের সামনে বাংলাদেশের ইতিহাসকে নতুনভাবে পড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) থেকে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রপরিচালনার বিভিন্ন দিক নিয়ে একসময় বেশকিছু আর্কাইভাল গ্রন্থ.
Report incorrect information