অভাবের প্রয়োজন রূপে ঝরে আঁধার রঙ/ভরা জোছনার আলো পরাজিত করে/চাহিদার থালা ক্ষুধায় চিৎকার করে বলে /অনুভূতি আছে কার, চাই তাঁরই সন্ধান! (কবিতা-প্রয়োজন)

অথবা

মা-বাবার বুক শূন্য করে অধিকার আনতে/প্রস্থান করেছে যে প্রাণ, সে প্রাণ নয় সাধারণ/তাদের বুকের রক্ত অগ্নি হয়ে ছড়িয়ে যাবে/এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে! (কবিতা-কচিপ্রাণ বুলেট ঝাঁঝরা)

অথবা

সত্যের পুষ্প চির সজীব পড়ে না ঝরে শুকিয়ে /যড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়ে যায় অকাল সত্যের প্রশ্বাসে,/সত্যের রক্ষক নয় সাধারণ মাটির নির্মিত নয় /স্বয়ং আরশের মালিক করে রক্ষা তাই নেই ভয়। (কবিতা-ষড়যন্ত্র)

এমনই অসংখ্য পঙ্ক্তি দিয়ে সাজানো কবি মো. আশতাব হোসেনের ‘রক্তের প্লাবন’ গ্রন্থের কবিতাগুলো। যুগ যুগ ধরে কবিরা কলমের মাধ্যমেই তাদের আনাচে -কানাচে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তুলে ধরেছেন। কবিরা যেন সমাজের আয়না।

কবি আশতাব হোসেনের কবিতার পরতে পরতে বিদ্রোহের আগুন। তিনি কলমের মাধ্যমে অত্যাচারিত মানুুষেরই প্রতিচ্ছবি এঁকেছেন। পরাধীন একটি দেশকে স্বাধীনতায় মোড়াতে গিয়ে কত মানুষের রক্ত ঝরেছে, কত মানুষ নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে তা হিসেবের খাতায় ফেলা যায় না। কবি সেই দুর্বিষহ ঘটনাগুলোই স্মৃতিচারণ করেছেন কবিতার মাধ্যমে তার এ কাব্যগ্রন্থে।

তার লেখায় ভিন্নতা লক্ষণীয়। তিনি বিদ্রোহের কবি, সাম্যের কবি, দেশপ্রেমের কবি। এক অঙ্গে যেন হাজার রূপের ঝলক।