Category:উপন্যাস সংকলন ও সমগ্র
মহাভারতের এক উপেক্ষিত চরিত্র ঘটোৎকচ। পাণ্ডবদের প্রথম সন্তান। পাণ্ডবসিংহাসনের উত্তরাধিকারী। কিন্তু তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুনের কূটচালে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে প্রাণ দিতে হলো এই ঘটোৎকচকে। কলকাঠি নেড়েছেন কৃষ্ণ। তা না হলে যে আর্যরাজক্ষমতা অনার্য ঘটোৎকচের হাতে চলে যায়!
ভীম-হিড়িম্বার প্রেমের ফসল ঘটোৎকচ। মাতা-পুত্র-দুজনেই পরিত্যক্ত। পাণ্ডবকুলনারী হয়েও হিড়িম্বা রাজবধূর মর্যাদা পেল না। অনার্য রাক্ষসী বলে দূরে রাখা হলো তাকে।
অবহেলিত ঘটোৎকচ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অপরিহার্য যোদ্ধা হয়ে উঠল। ঘটোৎকচ, কৃষ্ণ-দুজনেই পাণ্ডবপক্ষের। তার পরও কৃষ্ণ ঘটোৎকচবিরোধী।
এই বিদ্বেষের কারণ কী?
একদা ঘটোৎকচপত্নী কামকটঙ্কটার কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার গ্লানি? প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই কি কৃষ্ণ বিনাদোষে কামকটঙ্কটার পুত্র বর্বরীককে হত্যা করেন? আর কর্ণের একবীরঘাতিনী একাঘ্নী বাণের সামনে ঘটোৎকচকে ঠেলে দেন?
মহাবীর ঘটোৎকচের নিধনে কেন কৃষ্ণ উল্লসিত হয়ে উঠলেন? কেন ভীম ছাড়া অন্য পাণ্ডবরা নিশ্চুপ থাকল? ভীম সবার উদ্দেশে কেন ধিক্কার দিয়ে উঠেছিল?
এইসব প্রশ্নের উত্তর আছে হরিশংকর জলদাসের ঘটোৎকচ উপন্যাসে।
Report incorrect information