প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 30 Nov 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
এই বইটি আমার লেখার কারণ নয়, বরং আমার হৃদয়ের এক দীর্ঘদিনের আকুতি।
আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি, যখন 'ভালোবাসা' শব্দটি শুনলেই আমাদের মনে আসে একরাশ অস্থিরতা, পাপ এবং সামাজিক জটিলতা। তরুণ-তরুণীরা আবেগের তাড়নায় এমন পথে পা বাড়ায়, যেখানে সাময়িক সুখের পর অপেক্ষা করে গভীর হতাশা। আমি যখন আমার চারপাশে এমন চিত্র দেখতাম, তখন আমার মনে প্রশ্ন জাগত—পবিত্র প্রেম কি তবে একটি অলীক কল্পনা?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই জন্ম 'ইশ! প্রিয়তমা'-এর।
এই কিতাবটি কোনো কল্পনাবিলাস নয়, এটি সেই সাহসের গল্প—যা প্রমাণ করে: যখন একজন পুরুষ ও একজন নারী তাদের দুর্বলতাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করে, তখন সেই প্রেম শুধুমাত্র হালাল হয় না, তা হয়ে ওঠে পৃথিবীর সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার। আহনাফ আর রাইসার এই যাত্রা ছিল অর্থের বিরুদ্ধে পবিত্রতার, অধৈর্যের বিরুদ্ধে ঈমানের। তাদের এই দীর্ঘ দূরত্ব ও সংগ্রাম আমাদের শিখিয়েছে, ধৈর্য এবং ত্যাগই হলো প্রেমের শ্রেষ্ঠ উপাদান।
আমি আশা করি, এই উপন্যাসের প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ার পর আপনি শুধু একটি প্রেমের গল্প পড়বেন না, বরং আপনার জীবনে হালাল সম্পর্কের গুরুত্ব অনুভব করবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস—এই কিতাবটি আপনার হৃদয়ে এক নতুন জিজ্ঞাসা সৃষ্টি করবে: 'আমি কি আমার প্রিয়তমাকে/প্রিয়তমকে পাপ থেকে বাঁচানোর জন্য এমন সংগ্রাম করতে পারব?'
যদি এই কিতাবটি পড়ে একজন তরুণও পাপের পথ থেকে ফিরে এসে পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করতে পারে, তবেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস সফল।
পবিত্রতা, ধৈর্য এবং ভালোবাসার এই যাত্রায় আপনাকে স্বাগত জানাই।
সবশেষে, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা—তিনি যেন আমাদের সকলকে সেই 'প্রিয়তমা' বা 'প্রিয়তম' দান করেন, যার সাথে আমাদের অর্ধেক দ্বীন পূর্ণ হবে।