১.হায়াতুস সাহাবা - ১ম খণ্ড
বইয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বইটির কিছু বৈশিষ্ট্য
১. সাহাবায়ে কেরামের বর্ণিল জীবন ও অতুলনীয় আত্মত্যাগের ঈমানজাগানিয়া ঘটনাবলি খুবই সুবিন্যস্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
২. ইসলামের ইতিহাসের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ঘটনা রেফারেন্সসহ সংকলন করা হয়েছে।
৩. সব ধরনের পাঠকের কথা বিবেচনা করে অত্যন্ত সহজ, সাবলীল ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
৪. গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে প্রাসঙ্গিক টীকা-টিপ্পনী যুক্ত করা হয়েছে।
৫. হায়াতুস সাহাবা বইটি তাবলিগ জামাতের দৈনন্দিন পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত।
৬. বিশ্বব্যাপী সংগ্রামরত মুজাহিদদের পাঠ্যসূচিতেও বইটি অন্তর্ভুক্ত।
৭. সাহাবিদের জীবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হাদিস, ঐতিহাসিক ঘটনা, গল্প, উপাখ্যান ও ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে বইটি মহামূল্যবান ‘বিশ্বকোষ’ হিসেবে পরিগণিত।
৮. সর্বোপরি বইটি বিশ্বজুড়ে বিপুল সমাদৃত একটি মাকবুল ঐতিহাসিক গবেষণাগ্রন্থ।
৯. ইংরেজি, উর্দু, বাংলা, হিন্দি, তামিল, ফরাসি, তুর্কিসহ আরো কয়েকটি ভাষায় বইটি অনূদিত হয়েছে।
১০. বইটি পাঠকের হৃদয়ে ঈমানের আলো প্রজ্বলিত করবে এবং দীনের প্রতি তাদের ভালোবাসা সৃষ্টি করবে—ইনশাআল্লাহ।
আমাদের অনুবাদের বৈশিষ্ট্য
১. সর্বশেষ পঞ্চম আরবি সংস্করণ থেকে অনুবাদ করা হয়েছে।
২. সহজ ভাষায় পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করা হয়েছে।
৩. প্রতিটি ঘটনা ও তথ্যের তাহকিক ও তাখরিজ করা হয়েছে।
৪. বাংলা অনুবাদ আরবি ভাষায় রচিত মূল সূত্রগ্রন্থের সাথে মিলিয়ে দেখা হয়েছে।
৫. প্রয়োজন অনুযায়ী কুরআনের আয়াত, হাদিস ও বিভিন্ন দোয়ার আরবি-পাঠ উল্লেখ করা হয়েছে।
৬. সূত্র-অনুল্লেখিত তথ্যসমূহে সূত্র যুক্ত করা হয়েছে।
৭. সাধারণ পাঠকের বোধগম্য নয়—এমন স্থানসমূহে টীকা যুক্ত করে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
৮. স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে সমৃদ্ধ টীকা-সংযুক্তির মাধ্যমে স্পষ্ট করা হয়েছে।
৯. নাম, উপাধি, ডাকনাম, গোত্র, স্থান, যুদ্ধ ও সন্ধিসহ বিভিন্ন আরবি শব্দের সঠিক উচ্চারণ নিশ্চিত করতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
১০. বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনার মাধ্যমে অনুবাদ নিরীক্ষণ করা হয়েছে।
২.আওয়ামী শাসনে আলেম নিপীড়ন
ফ্যাসিবাদী হিসেবে খ্যাত আওয়ামী লীগ সরকারের একটানা সাড়ে ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ভিন্নমতের মানুষের পাশাপাশি চরম জুলুম নির্যাতনের শিকার হন ব্যাপক সংখ্যক আলেম-ওলামা। নির্যাতিত হন তাদের পরিবারের সদস্যরাও। রিমান্ডে নির্মম নির্যাতনের পাশাপাশি বছরের পর বছর কারাগারে আবদ্ধ রাখা হয় বহু আলেমকে।
নানা হুমকির কারণে সেই নির্যাতনের কথা প্রকাশ করতে পারেননি তারা। ফ্যাসিবাদের অনুগত মিডিয়াগুলোতেও তুলে ধরা হয়নি এসব নির্যাতনের চিত্র। উল্টো আলেমদের জঙ্গিবাদে জড়ানোর মত নানা কল্প কাহিনি প্রকাশ করা হয় বিভিন্ন মিডিয়ায়। ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে নির্যাতিত জনসাধারণের পাশাপাশি আলেমদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। এমনই সময় ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে নতুন করে প্রকাশিত হয় মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সম্পাদিত দৈনিক আমার দেশ। আর পুনরায় প্রকাশনার শুরু থেকেই আওয়ামী শাসনে নির্যাতিত আলেমদের কথা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরে পত্রিকাটি। সিনিয়র রিপোর্টার রকীবুল হকের লেখা সেই প্রকাশিত রিপোর্টগুলোর সংকলনই হলো-‘আওয়ামী শাসনে আলেম নিপীড়ন’ বইটি। দেশের হাজারো নির্যাতিত আলেমদের মধ্য থেকে আলোচিত ৪৩ জনের কথা উঠে
৩.নবীজির প্রিয় ১০০
পৃথিবীর জন্য রহমত হয়েই আগমন করেছেন প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। নবীজিকে ভালোবাসলেই আল্লাহর প্রিয় হওয়া যায়। তাই তো পৃথিবীর সবকিছু থেকে অধিক ভালোবাসতে হবে আমাদের প্রিয় নবীকে। আমরা নবীজিকে দেখিনি, দেখিনি আমাদের প্রতি নবীজির ভালোবাসা ও দরদ। তবে নবীজিকে না দেখেও তাকে অনুভব করার সুযোগ করে দিয়েছে হাদিসে নববি। আমরা হাদিস থেকে জানতে পেরেছি নবীজির প্রতিটি কথা, নবীজির ব্যথা, নবীজির ভালো লাগা ও ভালোবাসার সবকিছু।
‘নবীজির প্রিয় ১০০’ বইটি শুধু তথ্য নয়, নবীজির ভালোবাসা-ভালো লাগার সবকিছু থাকছে এক মলাটে। যেখান থেকে জানতে পারব, তিনি কী খেতে ভালোবাসতেন। কাকে সবচেয়ে বেশি মহব্বত করতেন। পছন্দের বাহন কী ছিল। কেমন পোশাক পরতেন। কোন পাত্রে পানি পান করতে পছন্দ করতেন। ইন্তেকালের পরও কোন স্ত্রীর কথা স্মরণ করে কাঁদতেন। নবীজির সবচেয়ে প্রিয় সাহাবি কে, কোন চাচাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছেন, কোন নাতিকে কষ্ট দিলে তিনি কষ্ট পাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন—এসবই বইতে তুলে ধরা হয়েছে।
নবীজির ওফাতের হাজার বছর পরও সিরাতুন্নবী সা.-এর বৈচিত্র্যময় গ্রন্থ পাঠকের সামনে এসেছে। এটাও নবীজির মোজেজা। কত সহস্র বই লেখা হয়েছে তাঁকে নিয়ে, তাঁরমহব্বতে রচিত হয়েছে সহস্র-অজুতকাব্য। তারপরও নবীজিকে জানার, নবীজিকে পাঠ করার তৃষ্ণা কখনোই কমেনি, কেয়ামত পর্যন্ত কমবেও না। ‘নবীজির প্রিয় ১০০’ বই পাঠে নবীজির প্রিয় জিনিসগুলো সম্পর্কে জেনে নবীপ্রেমে ভরে উঠবে হৃদয়।