জীবনরেখা বইটি তৈরি হয়েছে আমার চোখে দেখা মানুষের গল্প, তাদের সংগ্রাম, আনন্দ এবং জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে। প্রতিটি গল্প, প্রতিটি চরিত্রের ভেতর আমি চেষ্টা করেছি জীবনের সৎ রূপ তুলে ধরতে—যেখানে আনন্দ আর দুঃখ, আশা আর হতাশা একসাথে বাস করে।
আমার লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে পাঠককে সংযুক্ত করা। গার্মেন্টসের শ্রমিকের ক্লান্তি, গ্রাম্য নারীর অদম্য প্রেরণা, শিশুদের অমলিন স্বপ্ন—সবকিছুই এই বইয়ের কেন্দ্রে রয়েছে। আমি চাইনি কেবল কল্পনার গল্প; বরং বাস্তবের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তগুলোকে চিত্রিত করতে চেয়েছি।
এই লেখার মধ্যে রয়েছে শ্রম, ভালোবাসা, সম্পর্ক এবং স্বপ্ন। প্রতিটি চরিত্র তার নিজস্ব পথে সংগ্রাম করে, কিন্তু তাদের প্রত্যেকের জীবনে একধরনের আশা, এক ধরনের মানবিক উষ্ণতা বিদ্যমান। এই গল্পগুলো পড়ার সময় আপনি হয়তো নিজেকে কোথাও সেখানে দেখতে পাবেন—চোখের কোণে অঝোর ধারা, নিঃশব্দ ত্যাগ বা হঠাৎ খুঁজে পাওয়া আনন্দের মুহূর্ত।
লেখার সময় আমার মন একটাই বার্তা নিয়ে ভরে উঠেছিল—মানবিকতা, সহমর্মিতা এবং দৃঢ়তা। আশা করি, এই গল্পগুলো পড়ে পাঠকরা নিজেদের জীবনের ছোট ছোট আলোকে চিনতে পারবেন এবং প্রতিদিনের জটিলতার মধ্যেও আশা ও সাহস খুঁজে পাবেন।
এই বই শুধু গল্পের সংকলন নয়; এটি এক ধরনের মানুষের কোলাজ, যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের শেখায়, অনুভব করতে এবং জীবনের ছোট্ট আনন্দকে উদযাপন করতে। পাঠক এই গল্পগুলোর সঙ্গে মিশে যাবে, তাদের চোখে, হৃদয়ে এবং চিন্তায় একটি স্থান খুঁজে নেবে।
শেষে, আপনাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা, যারা এই গল্পের সঙ্গে সময় কাটাবেন। আপনারা যখন এই পাতাগুলো উল্টাবেন, তখন আশা করি, আপনার মনেও জীবনের প্রতি নতুন দৃষ্টি ও প্রেরণা জাগবে।
মো. আবুল বাশার পিতা: মো. আব্দুস সাত্তার মাতা: জামেদা সাত্তার জন্ম: নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামে। জন্মসাল: ১০ অক্টোবর ১৯৯৬ পড়াশোনা: ২০১২ সালে মাঘান দাখিল মাদ্রাসা থেকে বিজ্ঞান বিভাগে দাখিল, ২০১৬ সালে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রনিক টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা এবং সর্বশেষ ইউনিভার্সিটি অফ স্কলারস থেকে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক বিভাগ থেকে বি.এস.সি পাস করেন। কর্মজীবন: বর্তমানে আকিজ বশির গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান আকিজ বায়াক্স ফিল্ম লিমিটেড-এ উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছেন। বিবাহিত জীবন: ২০২১ সালের ২রা এপ্রিল পার্শ্ববর্তী গ্রামের তানজিলা আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। একমাত্র ছেলের নাম "তানজিফ ইয়াত।"