বইটি একইসাথে দাওয়াতি সফরের রোমাঞ্চভরা কাহিনির সমষ্টি এবং বাংলাদেশে খ্রিস্টান পাদরিদের অপতৎপরতার বিবরণ। এরা হচ্ছে উইপোকার মতো, যাদের দমন না করলে উৎপাত করেই যাবে। পাঠককে ঈমানি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে তার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে তা (বইটি) সাহায্য করবে। সেই সাথে প্রামাণ্য তথ্যও তাতে (বইয়ে) পরিবেশন করা হয়েছে, যা তার (বইয়ের) গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে।
আয়োজন করে ক্রুসেড যুদ্ধ ডেকে চরম মার খাওয়ার পর মুসলমানদের পরাজিত করার জন্য চারটি প্রস্তাবনা পেশ করলেন সেন্ট লুইস। তারপর থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চলছে আরও তীব্র ঝাঁঝালো এবং ভিন্ন মাত্রার যুদ্ধ।
শেষ জমানায় উম্মতের ভেতর ৭৩ দল হবে। বাইতুল মাকদিসের অন্যায় দাবিদাররা উঠেপড়ে লেগেছে মুসলমানদের দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে জাহান্নামে নিয়ে যেতে। কাউকে নিজেদের ক্রীড়নক বানিয়ে জান্নাতিদের নাস্তানাবুদ করছে, কাউকে সেবা-সুযোগ দিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগিয়ে রেখেছে। তাদের এই ক্রীড়নক পরিক্রমায় আছে ভণ্ড পির, সিনেমার মডেল, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং গোটা পুঁজিবাদী দুনিয়া।
রঙিন উপাসনায় বুদ্ধিযুদ্ধের চিত্র আঁকার কোশেশ করা হয়েছে, যে যুদ্ধে আমরা দেখি, আল্লাহর জন্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া অনেক মাদরাসায়ও অনুদান দেয় এবং পুস্তক বিতরণ করে খ্রিষ্টান মিশনারিরা! কাহিনির পাঁজরে কাহিনি বিঁধে রচিত হয়েছে রঙিন উপাসনা, উপযুক্ত জায়গায় এসেছে মজবুত বিবরণ—বেদনা, রোমাঞ্চ ও উত্তেজনার এ এক মহা-ঘূর্ণাবর্ত। যে বলে দিয়েছে বদলে যাওয়া এই নষ্ট সময়ের ভেতরের রহস্য, যুবক-বৃদ্ধ সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে সুন্দর সত্য ও ভালোবাসার পথে। পাঠককে ভাবাবে, কাঁদাবে এবং মুষ্টিবদ্ধ করাবে।
আমি ওমর আলী আশরাফ। জন্ম ১৯৯২ সালের ২ জুন। বেড়ে ওঠা গ্রামের বাড়ি ওয়াসেকপুরে। এটি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলায় অবস্থিত। ৫ ভাই ২ বোনের মধ্যে আমি ষষ্ঠ। আমি হিফজ সম্পন্ন করি আমাদের গ্রামের প্রসিদ্ধ মাদরাসা জামেয়া ইসলামিয়া আজিজিয়া ওয়াসেকপুরে। তারপর একজন যোগ্যতর আলেম হওয়ার লক্ষ্যে বাড়ি ছেড়ে এসে ভর্তি হই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থিত দারুল উলুম মাদানীনগর মাদরাসায়। আমার যা কিছু অর্জন এবং মানস গঠন, তার প্রায় পুরোটারই কৃতিত্ব এখানকার প্রিয় উস্তাযগণের। শিক্ষাজীবনের শেষ তিন বছর কাটাই পুরান ঢাকার জামেয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদরাসায়। এখান থেকে সম্পন্ন করি তাকমিল ফিল-হাদিস। বর্তমানে অধ্যয়ন ও লেখালেখি আমার প্রধান ব্যস্ততা। ভ্রমণ আর সংগীত বিশেষ পছন্দ। পাশাপাশি রয়েছে ‘বিন্যাস’ নামক বইপুস্তক সম্পাদনা, অনুবাদ ও প্রস্তুতকরণের একটি বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠান।