Category:রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক, মিথ, থ্রিলার, ও অ্যাডভেঞ্চার: অনুবাদ ও ইংরেজি
“শ্যাডো অব সামি” বইয়ের সারাংশ :
‘শ্যাডো অব সামি’ এক মনস্তাত্ত্বিক রহস্য ও দার্শনিক হররধর্মী গল্প, যেখানে বাস্তবতা ও অবচেতনের সীমানা ক্রমে মিলিয়ে যায়। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র সামি—এক তরুণ, যার জীবন এক অদ্ভুত অন্ধকারে জড়িয়ে পড়ে। প্রথমে সামি ভাবে, সবই হয়তো তার কল্পনা। কিন্তু অচিরেই সে টের পায়, তার চারপাশে এক ছায়া নড়ে, কথা বলে, এমনকি তার ভাবনার আগেই তার অনুভূতি বুঝে ফেলে। ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়, এই ছায়া আসলে বাইরের কিছু নয়—সামির নিজের ভয়, অপরাধবোধ আর দমিয়ে রাখা অতীতের প্রতিফলন। প্রতিটি স্মৃতি, প্রতিটি অনুশোচনা তার ভেতরে এমনভাবে জমে থাকে যে একসময় তা রূপ নেয় এক জীবন্ত অন্ধকারে। অকুতেনশি নামের এক রহস্যময় সত্তা তার মনের গভীরে প্রবেশ করে তাকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়, যার উত্তর হয়তো বাস্তব জগতের সীমায় নেই। গল্পটি যত এগোয়, সামির চেতনা ও অবচেতনের পার্থক্য তত ঘোলা হয়ে যায়। সময় যেন স্থির, মৃত্যু যেন স্পর্শযোগ্য, আর প্রতিটি মুহূর্তে সে বুঝতে শেখে—ছায়া থেকে পালানো মানে নিজের সত্য থেকে পালানো। শেষে যখন সে নিজেকে মুক্ত করতে চায়, তখনই স্পষ্ট হয়—ছায়া আসলে তার শত্রু নয়, বরং নিজের অস্তিত্বেরই অন্য রূপ। “শ্যাডো অব সামি” মানুষের মনের অন্ধকার, অপরাধবোধ ও আত্মঅনুসন্ধানের এক ভীতিকর অথচ দার্শনিক যাত্রা। এখানে ভয় কেবল বাইরের কোনো অশুভ শক্তি নয়, বরং অন্তরের গভীরে জমে থাকা সেই নিঃশব্দ ছায়া—যা আমাদের প্রত্যেকের ভেতরেই কোথাও না কোথাও বাস করে।
“মানুষ যত আলো খোঁজে, তার ছায়া তত গভীর হয়।”
Report incorrect information