Category:রোমান্টিক উপন্যাস
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
দস্তয়েভস্কি'র প্রত্যেক আখ্যানে রয়েছে এক অবর্ণনীয় হতাশা। প্রিয় পাঠক, আপনারা যাঁরা ফিওদোর দস্তয়েভস্কি'র লিখন-পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত তাঁদের নিকট এ তথ্য অজানা নয়। কোনো না কোনো চরিত্র তাঁর আখ্যানে এমন কিছু ভূমিকা পালন করে যেগুলো পাঠককে এক ধরনের চিন্তায় ফেলতে বাধ্য করে।
তেমনি "শুভ্র রজনী" গল্পটির পটভূমি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ, যেখানে গ্রীষ্মকালের রাতগুলো দিনের মতন আলোকোজ্জ্বল থাকে, যা "হোয়াইট নাইটস" বা 'শুভ্র রজনী' হিসেবেও পরিচিত। গল্পের প্রধান চরিত্র একজন নামহীন স্বপ্নবিলাসী ব্যক্তি, যিনি সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন, নিঃসঙ্গ এবং নিজ কল্পনার জগতে বেঁচে থাকেন। একরাতে তার পরিচয় ঘটে নাস্তেনকা নামের ১৭ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে। যে কি-না তার মতোই নিঃসঙ্গ। তবে কল্পনাবিলাসী নয়, বরং বাস্তববাদী।
দু’জনে চারটি রাত একসাথে কাটায়, হেঁটে বেড়ায় শহরের রাস্তায় এবং নিজেদের মনের কথা খুলে বলে। যুবকটি ধীরে ধীরে নাস্তেনকার প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু তরুণীটি তার পুরনো প্রেমিকের জন্য অপেক্ষা করছিল, যে কথা দিয়েছিল ফিরে আসবে। কী বিচিত্র জীবন! একজনের স্বপ্ন, অপরজনের বাস্তবতা; নিদারুণ এক পরিণতির দিকে ধাবিত হয় কাহিনি।
কয়েক মুহূর্তের স্তব্ধতা গ্রাস করে, অবসাদের এক তীব্র হাওয়া ভেতরে জাগ্রত করে হাহাকার। "শুভ্র রজনী"-তেও ঘটেনি তার ব্যতিক্রম। বইটির গল্পকথক এক রমনীর মায়াজালে জড়িয়ে যান। স্বপ্নও দেখেন। আবার বজ্রপাতের মতো হুট করে সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয় তার।
তারপর?
তারপর কোনো এক সেতুর ওপর নির্বিকার হয়ে স্থান দখল করে জীবন্মৃত হয়ে। আর?
Report incorrect information