প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 30 Nov 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
'সমস্ত শহরটা যেন রূপকথার সেই নিঝুমপুরি। বহু দূরে কোথাও রাত জাগা নিশাচর পাখি গম্ভীর স্বরে দুবার ডেকে ওঠে রাতের নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করে।একান্ত নির্জন এই মুহূর্তটিতে কেউ স্রষ্টার সাথে মধুর আলাপনে নিমগ্ন।বেশ কিছুক্ষণ পর আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হল আল্লাহর বড়ত্বের বিজয় নিনাদ।..
..ইয়াশা মাথা উঠিয়ে সরাসরি তার বাবার চোখের দিকে তাকালো।চেহারায় 'মন খারাপ ভঙ্গি' সরে গিয়ে একপ্রকার দৃঢ় ভাব ঠাঁই নিয়েছে।আশ্চর্যরকম শান্ত কণ্ঠে বলল,বাবা!আমি মাদ্রাসায় পড়তে চাই।
স্বপ্নের বিস্তারিত বর্ণনাটা তিনু দেয়নি। এখনো চোখে ভাসছে স্বপ্নটা। ফাবিহা যার নাম রাখবে ভেবেছিল সে বাঁচেনি। স্বপ্নের ভেতরে কার নাম কি রাখবে এটা বুঝতে পারার কথা না। তবুও সে স্পষ্টই বুঝেছিল। বিনু আপাকে বললে আপা মন খারাপ করত। গায়ে এসে পড়া বৃষ্টির প্রথম ফোঁটার দিকে তাকিয়ে তিনু মুগ্ধ গলায় বলল,'আমি, তোমার আপন বোন হলে হয়তো আপা ডাকটা এত বিশ্রী লাগত না আপু।'
প্রতিকূল অবস্থা ও ভিন্ন পরিবেশ থেকে উঠে আসা কয়েকজন ছেলে মেয়ে যখন মাদরাসায় পড়তে চায়,তখন তাদের পথ চলা কতটা মসৃণ হয়- এই ধারণার উপর ভিত্তি করে লেখা 'দ্বিতীয় আলয়'। পাশাপাশি মাদরাসাজগতের মানুষেরা মূলত কেমন হয় এর উপরও কিছুটা আলোকপাত করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। সেই সাথে সহজবোধ্য লেখনীর ধাঁচে বন্ধুত্ব-প্রেম-সম্পর্কের অপূর্ব মেলবন্ধনে পাঠককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অন্য এক ভুবনে। প্রিয় পাঠক! আশা করি হতাশ হবেন না।'
ফাহিম মাহমুদ। শিকড় মাদারীপুরে হলেও জন্ম গাজীপুরে,শতাব্দীর শুরুলগ্নে। ইট-পাথরের শহরে বেড়ে উঠলেও প্রকৃতির সঙ্গে রয়েছে তার এক নিগূঢ় বন্ধুত্ব। তাই অবসর পেলেই গ্রামবাংলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে যান নানাবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি সাধারণ স্কুলে। কিন্তু শৈশবেই তিনি মাদরাসায় প্রবেশ করেন/মাদরাসার আঙ্গিনায় পা রাখেন। ধারাবাহিক অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ২০২৪ সালে গাজীপুরের খ্যাতনামা বিদ্যাপীঠ জামিয়া রশিদিয়া আরাবিয়া থেকে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি আরবী সাহিত্য নিয়ে উচ্চতর শিক্ষা অর্জনে নিয়োজিত রয়েছেন। সাহিত্যচর্চার প্রতি তার অনুরাগ শৈশবকাল থেকেই। শব্দ, অনুভূতি ও কল্পনার মিশেলে তিনি জীবনের অর্থ খুঁজে ফিরেন। উপন্যাস তার কাছে কেবল গল্প নয়—বরং মানুষের অন্তর্জগৎ, স্বপ্ন ও বেদনাকে নতুন করে বলার এক শিল্প। এই প্রথম গ্রন্থেই পাঠক খুঁজে পাবেন তার সৃষ্টিশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও ভিন্ন ধরনের কাহিনি বলার শিল্প।