Category:পশ্চিমবঙ্গের বই: উপন্যাস
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
'আয়নামহল' বইয়ের ফ্লাপের লেখা
সে প্রথিতযশা শিল্পী। সে নিবিড় জীবনশিকারি। সে দিব্যজ্যোতি সিংহ। পৃথার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। সে বিয়ে ভেঙেও গেছে। কিন্তু এই বিচ্ছিন্নতার ভেতর সরু সুতাের মতাে ঝুলে আছে বন্ধনের আভাস। একাধিক আত্মীয়-অনাত্মীয় এমনকী বাড়ির কাজের মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত দিব্যজ্যোতি। এই মহিলাদের যুগপৎ ভালবাসা ও ঘৃণা তার ওপর ঝরে পড়ে। কিন্তু সে অদ্ভুত নির্লিপ্ত। কোনও বন্ধনে, এমনকী অপত্যের ডােরেও সে বাঁধা পড়তে চায় না। দিব্যজ্যোতি শুধু জীবনকে ভােগ করতে চায়। শৈশবে পিতৃহারা দিব্যজ্যোতির মা তার একমাত্র পারিবারিক বন্ধন। যদিও সে তার মা কেউই কারও ওপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল নয়। খ্যাতির মধ্যগগনে যখন সে প্রদীপ্ত, সেইসময় চাকরি ছেড়ে দিয়ে হাওড়ার কাছে এক বিশাল ভূ-সম্পত্তির ওপর দিব্যজ্যোতি গড়ে তুলল। দিদিমার নামে ‘সুবর্ণলতা’ প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের ভার দিল পরিচারিকা কল্পনা ও তার স্বামী সুখেনকে, যে কল্পনাকে একদিন সে। নির্মমভাবে নিজের প্রয়ােজনে ব্যবহার করেছে। গরিব মেয়েদের হাতের কাজ শিখিয়ে, তাদের শিল্পকর্ম দেশে-বিদেশে বিক্রি করে পথ চলা শুরু হল ‘সুবর্ণলতা'র। এই প্রতিষ্ঠানই দিব্যজ্যোতির। স্বপ্ন-সাধনা। সব সম্পর্ককে যে অবহেলায় উপেক্ষা করতে পেরেছে, সেই মানুষটা জড়িয়ে। গেল এই স্বপ্ন-সাধনার মর্মে মর্মে। কিন্তু সহসা সেরিব্রাল অ্যাটাকে জীবনপ্রেমী দিব্যজ্যোতি পঙ্গুত্বের আবর্তে ডুবে যায়। নিবে যেতে থাকে তার স্বপ্নসন্ধানী তারাদল। এক প্রাণান্তকর প্রয়াসে আবার জীবনের কাছে ফিরে আসতে চায় সে, পৃথাকে খোঁজে। কিন্তু তারপর? সুচিত্রা ভট্টাচার্যের কলমে এক গভীর জীবনদর্পণ ‘আয়নামহল।
Report incorrect information