Category:জুলাই অভ্যুত্থান: উপন্যাস
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
১৯৭১ সালের একজন কিশোরী মায়ের চোখে দেখা সত্য ঘটনা নিয়ে লেখা উপন্যাস “৭১-এ আমার মা”। যুদ্ধকালীন সময়ের বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা। জীবন বাঁচাতে দিকবিদিক হয়ে ছুটে চলা। ঠিক যেন জলে ভাসা কোনো সবুজ পাতা। লোমহর্ষক ঘটনার অন্তরালে কত ভয়ঙ্কর সত্য লুকানো! ব্যথারা গুমরে কাঁদে অব্যক্ত ভাবনায়। স্মৃতির মণিকোঠায় জ্বলজ্বলে শৈশবের আগমন। চোখের সম্মুখে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ভস্মীভ‚ত সোনালি দিনগুলো। তুষের আগুনের মতো জ্বলতে থাকা অনুভব। একদিকে স্বাধীনতার জন্য প্রিয়জনের ব্যস্ততা, অন্যদিকে শ্বশুরবাড়ির মানুষের কটাক্ষ। কিশোরী মা তার সন্তানকে আকড়ে ধরে বাঁচার সুতীব্র আকুতি জানায়। মা সমস্ত বেড়াজাল ছিন্ন করে স্বাধীন হতে চায়। পরাধীনতার শৃঙ্ক্ষলে সে অতিষ্ঠ। অহেতুক ভয়, অবাঞ্চিত গ্লানি তাকে নিঃশেষ করার আগেই স্বাধীনতা চায় সে, নিজের আপনজনের অত্যাচারের কাছ থেকে। স্বাধীন দেশের মাটিতে খালি পায়ে সবুজ ঘাসে হাঁটার স্বপ্ন তার। স্বপ্ন সত্যি হয়, নয় মাস পরে দেশ স্বাধীন হয়। মা ফিরে আসে নিজের সংসারে।
কাহিনি এখানেও শেষ হতে পারতো, কিন্তু তবুও কিছু খটকা, কিছু প্রশ্ন, কিছু উত্তরের খোঁজে, যোগ বিয়োগের অংকটা আজও যেন মেলে না!
উপন্যাসটি পড়লে জীবন্ত হয়ে উঠবে সেই সময়ের চালচিত্র। আশা করছি পাঠক, কিশোরী মায়ের চোখে স্বাধীনতার ভিন্নতর মানে খুঁজে পাবেন।
Report incorrect information