আল্লাহর পথে আহবানকারীর জন্য রয়েছে বিশেষ পুরস্কার। আল্লাহর পথে মানুষদের আহবান করা ওয়াজিব তথা আবশ্যক তাজ। এখন প্রশ্ন হলো-এ কাজ কি সবার জন্য আবশ্যক নাতি কিছু মানুষ আদায় করলে দায়িত্ব শেয়া বিষয়টি নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। তবে প্রসিদ্ধ মত হচ্ছে, এটা সবার জন্য ওয়াজিব নয়।
কিছু মানুষ আদায় করলেই হয়ে যাবে। তাই ইসলামি স্কলারদের প্রতিমত হলো-সমাজে এমন কিছু লোক থাকতেন, যারা সর্বদা আল্লাহর দিকে মানুষদের আজ্যান করবেন।
এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, 'আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত, যারা আজান জানাবে সৎকর্মের প্রতি। নির্দেশ দিবে ভালো কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে। আর তারাই হলো
অন্ধকার হতে আলোর দিকে, অজ্ঞতা হতে জনের দিকে, মন্দ থেকে ভালোর দিকে মানুষকে আহবান করা জরুরি।
পাশাপাশি মন্দ কাজ দেখলে তা প্রতিহত করা ঈমানের দাবি।
হাদিসের ভাষায়, 'তোমাদের মধ্যে যে বাকি কোনো মন্দ কাজ দেখতে, যে তা নিজ হাত ধারী প্রতিহত করবে।
'যদি সে সক্ষম না হয়, তবে তার জিজবা মারা প্রতিহত করবে। যদি সে সক্ষম না হয়, তবে রায় চিত্তা ও পরিকল্পনা করবে। হায় এটাই ঈমানের
সহিহ মুসলি বর্ণিত আয়াত ও হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, মানুষকে অল্লাহর পথে আহবান করা নৈতিক দায়িত্ব। তবে আজানকারীদের भावा প্রয়োজন বিশেষ কিছু গুণ।
আল্লাহর পথে আহবানকারীর যে সব গুণ থাকা বাঞ্চনীয় তন্মধ্যে সহবানকারীর আলেম তইসলাম সম্পর্কে পুরো আন
প্রত্যেক তাজ যেহেতু নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। তাই আল্লাহর পথে সহবানকারীর নিয়ত বিশুদ্ধ হওয়া জরুরি। লোক দেখানো, ধুনিয়ার সম্মান বা উদ্ভাসন পাওয়ার আশায় এ কাজ করা যাবে না।
প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী শুধু ইসলামের নানা বিষয় নিয়ে বই রচনা করেননি, তিনি একাধারে ইসলামি ফিকহ, হাদীস, তাসাউফ ও ইসলামি অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ। আর তা-ই নয়, তিনি একজন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শরীয়াহ আদালতে, এমনকি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরীয়াহ আপিল বেঞ্চেরও বিচারক পদে আসীন ছিলেন। মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দে ১৯৪৩ সালের ৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হলে তার পরিবার পাকিস্তানে চলে আসে এবং এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। শিক্ষাজীবনে তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে ইসলামি নানা বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়েও শিক্ষা নিয়েছেন। তিনি করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন, যেখান থেকে অর্থনীতি, আইনশাস্ত্র ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জন করেন। আর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেছেন আরবি ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ. ডিগ্রি। দারুল উলুম করাচি থেকে পিএইচডি সমমানের ডিগ্রি অর্জন করেছেন ইসলামি ফিকহ ও ফতোয়ার উপর। সর্বোচ্চ স্তরের দাওয়া হাদিসের শিক্ষাও তিনি একই প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করেন। বিচারকের দায়িত্ব পালন ছাড়াও বিভিন্ন ইসলামি বিষয়, যেমন- ফিকহ, ইসলামি অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আন্তর্জাতিক ফিকহ একাডেমির স্থায়ী সদস্যপদ রয়েছে তাঁর। পাকিস্তানে 'মিজান ব্যাংক' নামক ইসলামি ব্যাংকিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাকিস্তানে ইসলামি অর্থনীতির প্রসারে তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি রচনা করেছেন অসংখ্য বইও। তকী উসমানীর বই এর সংখ্যা ৬০ এর অধিক। শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী এর বই সমূহ রচিত হয়েছে ইংরেজি, আরবি ও উর্দু ভাষায়। শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'Easy Good Deeds', 'Spiritual Discourses', 'What is Christianity?', 'Radiant Prayers' ইত্যাদি ইংরেজি বই, ও 'তাবসেরে', 'দুনিয়া মেরে আগে', 'আসান নেকিয়া' ইত্যাদি উর্দু বই উল্লেখযোগ্য। এসকল বই ইসলাম প্রসারে, এবং বিভিন্ন ইসলামি ব্যাখ্যা প্রদান ও আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।