“১ আর ০-এক অদৃশ্য সেতু”
রাতের আকাশের দিকে তাকান—লক্ষ লক্ষ তারা, নিঃসীম অন্ধকার। কেউ বলে, তারা কেবল গ্যাস আর ধূলি; কেউ বলে, তারা ঐশী পরিকল্পনার প্রতিফলন। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবেছেন, এই বিশাল মহাবিশ্বের কোড কি হতে পারে? যদি এটি কোনো ভাষায় লেখা হয়, তবে সেই ভাষা কি?
আমার অনুসন্ধান শুরু হয়েছিল এক অদ্ভুত প্রশ্ন দিয়ে: “স্রষ্টা কি কোড ব্যবহার করেন?” বিজ্ঞান বলে, মহাবিশ্ব একটি গণনাযোগ্য সিস্টেম, যেখানে পদার্থ, শক্তি, আলো, এবং জীবনের কোষসমূহ—সবকিছুর পেছনে নিয়ম, সূত্র, এবং অ্যালগরিদম কাজ করে। ধর্ম বলে, স্রষ্টা তাঁর ইচ্ছায় সৃষ্টি করেন—“হও, আর তা হয়ে যায়” (সূরা বাকারা, ২:১১৭)। দর্শন বলে, সবকিছু একটি মৌলিক সত্যের প্রতিফলন—একটি ঐক্য, যা বহুর মধ্যেও অনন্য।
আমি এই তিনটি দৃষ্টিভঙ্গিকে একত্রে দেখতে চেয়েছি, একটি সাধারণ ভাষায়, যাতে আপনি—যে এই বই পড়ছেন—নিজেও উপলব্ধি করতে পারেন যে বাইনারি কোড (১ ও ০) কেবল প্রযুক্তির ভাষা নয়; এটি হতে পারে স্রষ্টার ভাষা, যে ভাষায় এই বিশ্বমণ্ডল রচিত হয়েছে।
এই বইয়ে আমি ব্যবহার করেছি আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান, বিশেষ করে কোয়ান্টাম ফিজিক্স, ইসলামী তাওহীদ ও দার্শনিক ঐক্যবোধ, এবং প্রাকৃতিক ও প্রযুক্তিগত বাস্তবতা—যেগুলো বাইনারি সিস্টেমের মাধ্যমে এক অদ্ভুত সুরে গাঁথা।
আমাদের চারপাশে যা কিছু ঘটছে—মানুষের পরিবর্তন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থান, প্রযুক্তির অধীনতা—সবকিছু যেন বলছে, আমরা এক অদৃশ্য কোডের মধ্যে বাস করছি। স্রষ্টার অ্যালগরিদম কি মানুষকে সৃজনশীলতার শিখরে তুলবে? নাকি তাকে যান্ত্রিক গোলামের মতো করে তুলবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্যই এই যাত্রা।
আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি এই রহস্যপথে—যেখানে ১ ও ০ এর মাঝে গোপন আছে ঐক্যের সংকেত।