আল বাইতুল মাকদিস ও ফিলিস্তিনের সমস্যার শেকড় ইসলামের সঙ্গে। কোনো ব্যক্তির অন্তরে যদি উম্মাহর প্রতি দরদ থাকে এবং মুসলিম উম্মাহর সমস্যা ও জটিলতা নিয়ে তার অন্তরে ভাবনা থাকে, তাহলে তার জন্যে ফিলিস্তিন সংকট সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং এ নিয়ে চিন্তিত হওয়া খুবই জরুরি কারণ হলো, একজন ব্যক্তির শরীরের সঙ্গে তার মস্তিষ্ক ও অন্তরের যেই সম্পর্ক, বাইতুল মাকদিস ও ফিলিস্তিনের সঙ্গেও মুসলমানদের সেই গভীর সম্পর্ক। আল কুদস মুসলমানদের জন্যে একদিকে ধর্ম ও মাতৃভূমি, অন্যদিকে ইতিহাস ও সভ্যতা। আমাদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এই আল কুদসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জাড়িত। পৃথিবীর প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি বিশেষ টান হয়েছে কুরআন কারিমের সুস্পষ্ট ভাষায় এ দেশ পন্ডিত্র বরকতময় পুণ্যভূমি। এখানেই মসজিদে আকসা অবস্থিত যা মুসলমানদের প্রথম কিবলা, যা ভূপৃষ্ঠের বুকে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ সম্মান ও শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে বাইতুল্লাহ ও মসজিদে নববির পরেই যা তৃতীয় শ্রেষ্ঠতম মসজিদ এই মসজিদকে ঘিরেই রচিত হয়েছে ইসরা ও মিরাজের সোনালি ইতিহাস। ফিলিস্তিন হচ্ছে শত শত নবি-রাসুলের জনপদ কিয়ামত দিবসের হিসাব-কিতাব ও পুনরুত্থানের সঙ্গে এই পুর্ণাভূমির নিবিড় সম্পর্ক আল্লাহর ভয় ও পরকালীন জবাবদিহির নিয়তে যে ব্যক্তি এখানে বসবাস করবেন, তিনি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমপর্যায়ভুক্ত। এই পুণ্যভূমিই সেই মহান কাযেলার প্রাণকেন্দ্র, যার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, 'তারা চিরকাল বিজয়ী ও কিয়ামত পর্যন্ত সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।'
ফিলিস্তিন হচ্ছে ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের সংগমস্থল এবং বিশ্বের সুপার পাওয়ারদের জন্যে প্রাণকেন্দ্র। কেননা, এখান থেকে খুব সহজে পুরো বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এজন্যেই জানেবানী শক্তি ধর্মীয়,