অর্থের লেনদেন শুরু হওয়ার সাথে সাথে ব্যাবসাবাণিজ্যের প্রয়োজনেই ব্যাংক ব্যবস্থার জন্ম হয়। যখন একপক্ষের বাড়তি অর্থ সংরক্ষণের প্রয়োজন দেখা দেয় এবং অন্য পক্ষের আর্থিক ঘাটতির কারণে ধার বা ঋণের প্রয়োজন দেখা দেয়, তখন এই বিপরীতমুখী দুই চাহিদার সমন্বয়ে ব্যাংক ব্যবস্থা গড়ে উঠে। মধ্যযুগে ইহুদি ব্যবসায়ীরা এক পক্ষের কাছ থেকে কম সুদের বিনিময়ে অর্থ আমানত হিসাবে গ্রহণ করত এবং অন্য পক্ষের কাছে এই অর্থ - অপেক্ষাকৃত বেশি সুদে ধার হিসাবে দিত। এভাবে ধারের ব্যবসার মধ্য দিয়েই ব্যাংক ব্যবসার জন্ম হয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ব্যাংক ব্যবস্থা শুধু ঋণ নেওয়া ও দেওয়ার কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং এর কাজ অনেক বিস্তৃত হয়েছে। যেমন: ব্যাংক ড্রাফট, চেক, পে-অর্ডার ইত্যাদির মাধ্যমে নতুন নতুন বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করা, মক্কেলদের ব্যাবসা বাণিজ্যের লেনদেন নিষ্পত্তি করার জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় অর্থ স্থানান্তর করা, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য মুলধন গঠন করা ও লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সহযোগিতার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করা ইত্যাদি। বর্তমান যুগে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ভিত্তিই হলো শিল্প ও বাণিজ্য। আর এই শিল্প ও বাণিজ্যের উন্নয়নে ব্যাংকের ভূমিকা অপরিসীম। তাই বলা যায়, একটি সুষম ব্যাংকিং ব্যবস্থা ছাড়া কোনো দেশেরই অর্থনৈতিক উন্নয়ন হতে পারে না।
Title
ফিন্যান্স,ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্র - একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
বিবিএস, এমবিএস (ফিন্যান্স) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ ঢাকা সিটি কলেজ, ঢাকা । সহকারী অধ্যাপক মাস্টার ট্রেইনার (সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়ন, পরিশোধন ও উত্তর পত্র মূল্যায়ন)