ইউরোপের সম্পদ কুক্ষিগত করার জন্য দীর্ঘ ছক আঁকেন (ইহুদি) আমশেল৷ মৃত্যুর আগে সেই পরিকল্পিত ছক তিনি তার ছেলে-মেয়েদের শিখিয়ে দিয়ে যান৷ আমশেলের সেই ছকটি কী ছিল? হ্যাঁ, ছকটি ছিল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা৷ সুদি লেনদেন চালু করার মাধ্যমে জনমানুষের সহায় সম্পদ লুট করা৷ ইউরোপের পাঁচটি দেশে তিনি তার পাঁচ ছেলেকে ছড়িয়ে দেন৷ জার্মানিতে এন্সলেমকে, অস্ট্রিয়ায় সোলাঈমানকে, ব্রিটিনে নাথানকে, ইটালিতে কার্লকে, ফ্রান্সে জেমসকে চলে যেতে বলেন৷ পরবর্তী সময়ে আমেরিকাকে টার্গেট করে তাদের উত্তরপুরুষ শোনবার্গ৷
পিতার আদেশে ছড়িয়ে পড়ে ছেলেরা৷ নিজেদের মাঝে সুসম্পর্ক বজায় রেখে অর্থ হাসিলে মনোযোগ দেয়৷ প্রত্যেকেই নিজ দেশে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে৷ সেই কাল থেকে এই কাল, দীর্ঘ এই সময়ের ব্যাংকের ইতিহাসের অবধারিত অংশ হিসেবে জড়িয়ে আছে এই রথচাইল্ড পরিবারের নাম৷ দুটি উক্তি শুনলে এই পরিবারের শক্তির মাত্রা আঁচ করতে আমাদের সুবিধা হবে :
আমাকে সুযোগ দাও জাতির অর্থে দখল বসাতে৷ এরপর আমার পরোয়া থাকবে না কে নীতি নির্ধারণ করে।
—আমশেল মুসা রথচাইল্ড৷
আমার এ-নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই যে, কোন পুতুলকে ইংল্যান্ডের রাজ সিংহাসনে বসানো হলো। যে ব্রিটেনে সাম্রাজ্য পরিচালনা করবে, যার সূর্য কখনো অস্তমিত হবে না৷ আসলে সম্পদের উৎস যার হাতে, সে-ই মূলত ব্রিটেন সাম্রাজ্য পরিচালনা করে৷ আর ব্রিটেনের সম্পদের উৎস আমার হাতে।
— নাথান রথচাইল্ড৷
ফ্রিম্যাসনঃ
১৯১৭ সালের দিকে ইউরোপের কিছু কিছু দেশে একটি রাজনৈতিক এবং চৈন্তিক কর্ম-তৎপরতা শুরু হয়েছিল। যেগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল সকল ধর্ম, বিশেষত খ্রিস্টান ও ইসলামধর্মের বিরুদ্ধে তোড়জোড় অবস্থানগ্রহণ। এই ধর্মদুটিকে মিটিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, মানবতবাদের মতো ধোঁয়াশপূর্ণ ইজমগুলোর ফাঁপা স্লোগান তুলে এমন এক বৈশ্বিক ব্যবস্থা জারি করতে চায়—যার সম্পূর্ণ নেতৃত্ব থাকবে ইহুদিদের অদৃশ্য হাতে। ফ্রিম্যাসনের হাতে। তবে প্রকাশ্যে নয়, আড়ালে থেকেই তারা পরিচালনা করতে চায় পুরো বিশ্বকে।
সিনিয়র বুশ যে বৈশ্বিক নতুন ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছিলেন—তা ছিল ম্যাসনবাদী ইহুদিদের-ই হাজার বছরের সাধনার ফল। অধুনা ইহুদিদের আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে বলে মনে হচ্ছে না। এখন তারা শক্তিমত্তার সর্ব শিখরে অবস্থান করছে। পরাশক্তি আমেরিকার মাথায় কাঠাল ভেঙে খেয়ে পুরো বিশ্বে এক আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছে। আমাদের জানা নেই—পূর্ব-পশ্চিমে এই ইহুদিদের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের গল্প কোথায় গিয়ে শেষ হবে!
আব্দুল কাইয়্যুম আহমেদ। এই তো, কিছুদিন আগে লেখালেখির জগতে পা রাখা এক নিমগ্ন সবুজ তরুণ। জন্মগ্রহণ করেছেন মাগুরা জেলার এক অখ্যাত গ্রামে। লেখাপড়ার হাতেখড়ি ঘরে মহীয়সী মায়ের হাতে। বাল্যকালেই শেষ করেছেন কুরআন কারিমের হিফজ। তারপর মাদ্রাসা-শিক্ষার পাশাপাশি নিয়েছেন সাধারণ-শিক্ষার পাঠও। স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে এখন অধ্যয়নরত ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, কুষ্টিয়া বাংলাদেশ-এ। সেই ছোটোবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি তার ভীষণ অনুরাগ। রচনা করেছেন বেশকিছু ছোটোগল্প ও উপন্যাসিকা। ২০২০ সালে তার প্রথম প্রকাশিত বই ‘ইলুমিনাতি’ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে বেস্টসেলার ক্যাটাগরিতে। ব্যাপক পাঠক-সমাদৃত এই লেখকের দ্বিতীয় বই ‘দ্যা স্টেট অব গড’।