“চল!"
ফোনটা কেটে উঠে দাঁড়াল। আফনূরের উদ্দেশ্যে কথাটি বলে চেয়ারে ঝুলিয়ে রাখা কোটটা হাতে নিল। আফনূর হা করে চেয়ে রইল। তারাজের হালকা উচ্চ শব্দে চমকে উঠল।
“কি হলো উঠ! যেতে হবে আমাদের!"
আফনূর এবারও চমকাল। ঝট করেই উঠে দাঁড়াল, তারাজকে জিজ্ঞেস করল,
“কোথায় যাব?”
“তোমাকে বলেনি, আজ আমাদের বিয়ের কেনাকাটা হবে?"
“না মানে আমি বলছিলাম..."
“দ্রুত করো, তোমাকে বসুন্ধরা নামিয়ে আমাকে সাভার যেতে হবে!"
“কিন্তু আপনি আমার কথাগুলো..."
“কেনাকাটা শেষ করো, বাসায় যাও! আজ থেকে ঠিক চারদিন পর স্বামীর পাশে দাড়িয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিদর্শন করবে। তার একদিন পর স্বামীর বিজয়োৎসব উৎযাপন করবে। আর এটা হবে আমার জীবনে আসার জন্য তোমাকে দেওয়া আমার প্রথম উপহার।"
“কিন্তু...?”
“আমি অতীত নিয়ে পড়ে থাকি না নূর। আমি দেখি বর্তমান এবং তার দন্ডে নির্ধারিত ভবিষ্যৎ। আশা করি এরপরে তোমার আর কোন কিন্তু পরুন্তু থাকবে না।"
আফনূর মাথা নুইয়ে নিল। তারাজের কথায় সে আবেগি হয়ে পড়েছে। ডাগর ডাগর আঁখি জোড়া ঘোলাটে হয়ে গেল। সে পলক ফেলতেই নোনা উষ্ণ জলেরা তার গাল গড়িয়ে চিবুক ছুঁতেই তারাজ দুহাতের আঁজলায় তুলে নিল গোলাকার চাঁদ বদনখানি। বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে ঠোঁটের কোনে লেপ্টে থাকা লিপস্টিক মুছে... গাঢ়, ঝরঝরা, প্রস্ফুটিত, নিরেট স্বরে বলল,।
“স্বার্থের এই শহরে তোমাকেঁ দিলাম এক পশলা ভালোবাসা,
গাল ভিজিয়ে চলে যাবার এই নগরে তোমাকে দিলাম এক মুঠো সুখের আশা!
“তুমি ভালোবাসবে, ভালো থাকবে, আমার এই পাঁজরের খড়কুটোর ছাউনিতে!
তোমাকে ভালোবাসার উর্ধ্বে আর কিছু নেই এই জগতে।”