Category:আত্ম উন্নয়ন ও মোটিভেশন
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
“আপনার অন্তরের আগুন নিভতে দেবেন না। হতাশার অন্ধকার জলাশয়ে আপনার অমূল্য স্ফুলিঙ্গকে কখনও নিমজ্জিত হতে দেবেন না—না আজ, না আগামীতে, কখনও নয়। নিঃসঙ্গ হতাশায় আপনার আত্মার নায়ককে ভেঙে পড়তে দেবেন না সেই জীবনের জন্য, যা আপনার প্রাপ্য, অথচ যেখানে পৌঁছাতে আপনি সাহস করেননি। মনে রাখুন—আপনি যে পৃথিবী চান, তা জয় করা সম্ভব। সেটি বাস্তব। সেটি বিদ্যমান। সেটি আপনার।” – আয়ন র্যান্ড
তিনি ছিলেন এক অনন্য বক্তা। সত্যিকারের এক স্পেলবাইন্ডার।
তার অনবদ্য কর্মজীবনের শেষ প্রান্তে, আশির দশকে এসে তিনি বিশ্বজুড়ে সম্মানিত হয়েছিলেন এক অদম্য প্রেরণাদাতা, নেতৃত্বের কিংবদন্তি এবং সাধারণ মানুষকে তাদের শ্রেষ্ঠতর সামর্থ্য উপলব্ধি করতে সহায়তা করা এক আন্তরিক মানবদরদি হিসেবে।
অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভরা সময়ে তার প্রতিটি অনুষ্ঠান স্টেডিয়ামভর্তি মানুষকে আকৃষ্ট করত। তারা সেখানে আসত কেবল সৃজনশীলতা, উৎপাদনশীলতা ও সমৃদ্ধিতে ভরা জীবন যাপনের জন্য নয়, বরং অন্তরের গভীরে মানবিক উৎকর্ষের পথে উঠতে। যাতে জীবনের শেষে তারা নিশ্চিত হতে পারে—তাদের রেখে যাওয়া উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মের কাছে মূল্যবান হবে, তাদের পদচিহ্ন অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
তার কাজ ছিল সত্যিই ব্যতিক্রমী। গভীর অন্তর্দৃষ্টি আর দৃঢ় দর্শন মিলিয়ে তিনি মানুষের চরিত্রের যোদ্ধাকে শক্তিশালী করতেন এবং অন্তরে লুকিয়ে থাকা কবিসত্তাকে শ্রদ্ধা দিতেন। তার বার্তাগুলো সাধারণ মানুষকে দেখাত কীভাবে ব্যবসার শীর্ষ সাফল্য অর্জন করেও জীবনের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ও বিস্ময়কে পুনরুদ্ধার করা যায়। এই শীতল ও জটিল পৃথিবীতে, যেখানে আমরা প্রযুক্তি আর ভোগবাদে আমাদের প্রাকৃতিক প্রতিভাকে শৃঙ্খলিত করে ফেলেছিলাম, সেখানে তিনি আমাদের ফিরিয়ে আনতেন বিস্ময়ের সহজ আনন্দে।
স্পেলবাইন্ডার ছিলেন দীর্ঘদেহী, তবে বয়সের ভারে কিছুটা নুয়ে পড়েছিলেন। মঞ্চে হাঁটার সময় প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল মনোযোগী ও পরিমিত। নিখুঁতভাবে তৈরি কাঠকয়লা-ধূসর স্যুট, যার উপর নরম সাদা পিনস্ট্রাইপ তাকে দিয়েছিল এক পরিশীলিত মহিমা। আর নীল ফ্রেমের চশমা তার উপস্থিতিকে যোগ করেছিল এক প্রজ্ঞাময় শীতলতা।
“আপনার প্রতিভাকে অপচয় করার জন্য জীবন খুব ছোট,” হাজারো শ্রোতার উদ্দেশে তিনি বলছিলেন।
“আপনার জন্ম হয়েছে কেবল বেঁচে থাকার জন্য নয়—বরং কিংবদন্তি হবার জন্য। আপনাকে গড়ে তোলা হয়েছে মহৎ কর্মের জন্য, এমন প্রকল্প সম্পাদনের জন্য যা বিশ্বকে উন্নত করবে, আর আপনাকে এমন এক শক্তিতে রূপান্তরিত করবে, যা এই অপূর্ণ মানবসভ্যতায় আলোকবর্তিকা হয়ে দাঁড়াবে।
আজকের বিশ্বজুড়ে মানুষ তাদের মর্যাদা খুঁজে ফেরে দোকান থেকে দামী জুতো ও সামগ্রী কিনে, অথচ নিজেদের উন্নত করার জন্য সামান্যই বিনিয়োগ করে। তারা ব্যক্তিগত নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় মনে করে না, বরং হয়ে উঠেছে সাইবার-জম্বি—অবিরামভাবে ডিজিটাল যন্ত্রের দাসে পরিণত। অথচ সত্যিকার মহত্ত্ব আসে আত্মকেন্দ্রিকতা ছেড়ে অন্যদের কল্যাণে নিবেদিত হওয়ার মধ্য দিয়ে।
পৃথিবীর সকল মহৎ নারী-পুরুষ ছিলেন দাতা, গ্রহীতা নয়।
‘যে বেশি সংগ্রহ করে, সেই-ই বিজয়ী’—এই ভ্রান্ত ধারণা ত্যাগ করুন।
বরং এমন বীরত্বপূর্ণ কাজ করুন যা কেবল বাজারের সাফল্যই নয়, বরং মানবতার সেবার মানদণ্ডেও অতুলনীয় হয়।
এবং যখন আপনি এটি করবেন, তখন একটি দৃঢ় নৈতিকতায় ভরপুর ব্যক্তিগত জীবন গড়ে তুলুন—যা সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ এবং আত্মশান্তির ক্ষেত্রে অবিচল।
বন্ধুরা, এভাবেই আমরা পাখনা মেলে দেবদূতদের সাথে উড়তে পারব, আর দেবতাদের সঙ্গে পাশাপাশি চলতে পারব।”
Report incorrect information