"এইটা আসল দুনিয়া ভাই, স্কুল শেষ। এখন তোর স্বপ্ন কে চুরি করে নিলো, তুই নিজেই জানিস না।" —এই গান লাইন দিয়ে লেখক আমাদের বোঝাতে চান যে বাস্তব জীবন অনেক কঠিন, আর স্কুলের বইয়ে যেটা শেখানো হয়, তার বাইরে অনেক বড় সংগ্রাম অপেক্ষা করে। লেখক বলেন, তিনি যখনই ম্যানেজমেন্ট বা সেলফ-হেল্প বই পড়েন, তখন ভাবেন—এই বইগুলো যে সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলছে, সেগুলো আসল কঠিন বিষয় নয়। বড় কোনো লক্ষ্য ঠিক করা কঠিন না, কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ না হলে কর্মচারীদের ছাঁটাই করা অনেক বেশি কঠিন। ভালো লোক নিয়োগ দেওয়া কঠিন না, কিন্তু যখন সেই লোকগুলো নিজেদের বিশেষ কিছু ভাবা শুরু করে, তখন সমস্যা তৈরি হয়। একটা অর্গানাইজেশন চার্ট তৈরি করা কঠিন না, কিন্তু সেই কাঠামোর ভেতরে মানুষদের মধ্যে যোগাযোগ করানো অনেক বেশি কঠিন। বড় স্বপ্ন দেখা কঠিন না, বরং স্বপ্নটা দুঃস্বপ্নে পরিণত হলে রাতের বেলায় ঘুম ভেঙে ঠান্ডা ঘামে ভিজে ওঠা কঠিন।
এইসব বইয়ের সমস্যা হলো—তারা এমন সমস্যার জন্য সমাধান বা রেসিপি দিতে চায়, যার আসলে কোনো নির্দিষ্ট রেসিপি নেই। যেমন: একটা হাই-টেক কোম্পানি বানানোর, সমস্যায় পড়া একটা টিমকে উদ্ধার করার, অনেক হিট গান তৈরির, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার, কিংবা যখন ব্যবসা একেবারে খারাপ যাচ্ছে তখন মানুষকে মোটিভেট করার—এইগুলোর কোনো ফিক্সড ফর্মুলা নেই। আর সেটাই সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার—এইসব কঠিন বিষয়গুলোর জন্য কোনো নিয়ম বা গাইডলাইন থাকে না।
তবু, অভিজ্ঞতা আর কিছু টুকরো টিপস অনেক সময় কাজে লাগতে পারে। এই বইতে লেখক কোনো নির্দিষ্ট ফর্মুলা দিচ্ছেন না। বরং, তিনি তার নিজের জীবনের গল্প শেয়ার করছেন—যেখানে তিনি একজন উদ্যোক্তা, সিইও, আর এখন একজন ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট হিসেবে বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে, একটা কোম্পানি বানাতে গেলে কঠিন সময় আসবেই। তিনি সেই সময়গুলো পার করেছেন, সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এই শিক্ষা।