আল-বালাগাতুল ওয়াদিহাহ" কিতাবটি 'মাদানী নেসাব' এর সিলেবাসভুক্ত একটি কিতাব। এ কিতাবটি মাদানী নেসাবের প্রবর্তক আল্লামা আবু তাহের মিসবাহ সাহেব হাফিযাহুল্লাহ মাদানী নেসাবের সিলেবাসভুক্ত করেছেন। অধম বান্দাকে আল্লাহ তা'আলা হযরতের কাছে এ কিতাবটি পড়ার তৌফিক দান করেছেন। হযরত আমাদেরকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে এ কিতাবের বিষয়বস্তু বুঝিয়ে দিতেন। হযরত আমাদেরকে যেভাবে তা'লীম দিতেন পর দিন আমরা সেভাবে লিখে হযরতকে দেখাতাম, তিনি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আমাদের লেখাগুলো দেখে দিতেন।
তবে যেহেতু "আল-বালাগাতুল ওয়াদিহাহ" কিতাবটি বিশাল আকারের তামরীন সমৃদ্ধ একটি কিতাব। তাই যাদের ভাষা আরবী, যদিও তারা এ কিতাবটি অতি অনায়াসে পড়তে পারে, কিন্তু আমাদের মতো অনারবদের পক্ষে ব্যাপক তামরীন সমৃদ্ধ বিশাল আকারের এ কিতাবটি পড়ে আত্মস্থ করা শুধু কঠিন নয় বরং প্রায় অসম্ভব। তাই এক্ষেত্রে দুটি বিষয়ের প্রয়োজন।
১. কিতাবটি সহজে আত্মস্থ করার একটি মাধ্যম থাকা।
২. এ কিতাবের একান্ত আবশ্যকীয় বিষয়গুলো নির্বাচন করে ছাত্রদেরকে পাঠদান করা।
এক্ষেত্রে যিনি এ কিতাবটি সিলেবাসভুক্ত করেছেন মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ হাফিযাহুল্লাহ তিনি এ কিতাব থেকে নির্বাচন করে عِلْمُ البَيَان এর যেসব বিষয় আমাদেরকে দরস দিয়েছিলেন সেসব বিষয়ের تشريح এ কিতাবে করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি অধ্যায়ের প্রথম تَمْرِين এর تشریحও করা হয়েছে।
তবে এ কিতাবটি শুধু শরাহ নয়, প্রতিটি বিষয় এমন এক ভিন্ন তরয বা নিয়মে বর্ণনা করা হয়েছে। যার ফলে এটি স্বতন্ত্র একটি কিতাবের রূপ পরিগ্রহ করেছে। এ কিতাবের শেষে 'ইলমুল বাদী' এর আলোচনাও যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কারণ 'ইলমুল বাদী' বালাগাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পরিশেষে বলতে চাই, মানুষ মাত্রই ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। তাই যদি কোনো হৃদয়বান পাঠকের দৃষ্টিতে কোনো ভুল-ত্রুটি ধরা পড়ে, তাহলে মেহেরবানী করে এ ব্যাপারে আমাদেরকে অবগত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ রইল।