হঠাৎ গুলির শব্দ শুনতে পেলেন। সারা জীবন ঐ শব্দটির সঙ্গে দিনরাত্রির পরিচয়। মুহূর্তে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মতো শরীরটা সক্রিয় হয়ে উঠল। কিন্তু না বুঝেই শুয়ে পড়লেন ঘাসের ওপর। দুয়েক মিনিট পরেই দেখলেন এক ঝাঁক গুলি উড়ে যাচ্ছে দু'য়েক হাত ওপর দিয়ে। গাড়ির ভেতর থেকে কেউ এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ছে। রাস্তাটা তাদের বাড়ির সামনে। উঠে দাড়ালেন দ্রুত। দেখলেন বিশাল একটা সাদা রঙের পাড়ি চলে যাচ্ছে। কাচ নামানো এবং ওটার ভেতর থেকেই কেউ গুলি করেছে।
দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখে হায়দার তার ছুরিটা বের করে কিছু বোঝার আগেই ছেলেটির বুকে ঢুকিয়ে দিল পরপর অনেকবার। শাকিল তার মুখ চেপে রেখেছিলেন একহাত দিয়ে। চিৎকারের আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হল। অন্য হাত দিয়ে শক্ত করে জাপটে ধরে ছিলেন ওকে পেছন দিক থেকে। দাপাদাপি করতে করতে শরীরটা নিখর হয়ে গেল। ফিনকি দিয়ে রক্ত এসে লাগল হায়দারের জামায়।
Report incorrect information