সালেহ আহমদ ১৯৫০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার কানাইঘাট থানার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের পারকুল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার চাকরি-সূত্রে শৈশব থেকেই ঢাকায় বেড়ে ওঠা। মতিঝিল সেন্ট্রাল গভ. বয়েজ হাইস্কুল থেকে এসএসসি, নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে অনার্স করেন। কৈশোরকাল থেকেই লেখালেখির সাথে যুক্ত, ৭০ দশকের স্বাধীনতা উত্তর বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য গল্পকার, কথাসাহিত্যিক ও কবি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। বাংলাদেশের প্রগতিশীল প্রায় সব দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক কাগজে তাঁর লেখা ছাপা হয়েছে। সাংবাদিকতা দিয়ে পেশাজীবনে শুরু করলেও, পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর তাঁকে কিছু দিন এয়ারপোর্ট কাস্টমস বিভাগে চাকরি করতে হয় এবং পরে বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী একটি কর্পোরেট হাউসের কেন্দ্রীয় প্রশাসন, জনসংযোগ ও মানবসম্পদ প্রধান হিসেবে কাজ করেন। সালেহ আহমদ একজন জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি ১৯৯২ সালের জন্য ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক রিলেশন অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালের পর সালেহ আহমদ তাঁর নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। মালয়েশিয়ার লয়াং ইমাস এর সাথে যৌথ সহযোগিতায় লয়ং ইমাস বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করে তিনি তাঁর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন এবং অপ্রচলিত সামুদ্রিক মাছ আহরণ ও রপ্তানি ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকেন। ব্যবসায়ের কাজে তিনি ভারত, নেপাল, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দুবাই, হংকং, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো, নদী হয় সাঁকো হয়, একটি কালো মেয়ের গল্প, মতিঝিল কলোনি, যা কিছু আমার। এ ছাড়াও তিনি ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত জনপ্রিয় শিশুকিশোর পত্রিকা, ‘ছোটদের কাগজ’এর প্রধান সম্পাদক ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে নিভৃতচারী এই লেখক, প্রায় চল্লিশ বছর কোন লেখালেখির মধ্যে ছিলেন না। জীবন সায়াহ্নে এসে নতুন করে লেখা শুরু করেছেন এবং তার সরল গদ্যভাষায় লেখা জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার গল্প পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। তার নিয়মিত লেখা স্মৃতি গদ্য ‘দুনিয়াদারি’ একটি দৈনিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে এবং পাঠক প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক।