গল্প পড়তে কার না ভালো লাগে! গল্প যদি হয় শেখার উপকরণ, আঁধারের বাতি! গল্পে যদি পাওয়া যায় আত্মার খোরাক, হৃদয়ের প্রশান্তি। গল্প যদি পাঠককে চিন্তা করতে শেখায়, দিয়ে যায় জটিলতার সমাধান। গল্প যদি জীবন গঠনে উদ্বুদ্ধ করে, পাওয়া যায় এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। তখন সেগুলো সেরেফ গল্প নয়, সেগুলো হয়ে ওঠে আমাদের জীবনপথের পাথেয়।
‘আসলাফ-আকাবির আদর্শ জীবনের গল্প’ তেমনি একটি বই। তেমনি একটি সংকলন। ২৪০ পৃষ্ঠার চমৎকার এই বই জুড়ে বিস্তৃত আসলাফ-আকাবিরের আদর্শ জীবনের গল্প। …. প্রায় ৩৮-টি কিতাব সামনে রেখে, সেখান থেকে ৩৭৫-টি শিক্ষণীয় ঘটনা চিহ্নিত করে মলাটবদ্ধ করেছেন আসলাফ-আকাবিরের আদর্শ জীবনের গল্প।
প্রতিটি ঘটনার পর খন্ড-পৃষ্ঠা উল্লেখপূর্বক উদ্ধৃতি প্রদান করা হয়েছে। বইয়ের শেষে মূল লেখকের নাম, প্রকাশনার নামসহ সবকটি কিতাবের তালিকাও আছে। যাতে করে আমরা আকাবির-আসলাফের জীবন-চরিত অধ্যয়নের জন্য ওইসব কিতাব ‘মুতালাআ’ করতে পারি।
মহৎ জীবনের গল্প
নানামুখি প্রতিকুলতার মুখোমুখি হতে হয় যে কোনো মানুষকে। জীবনের বাঁকে বাঁকে ঘটে যাওয়া এসব বিচিত্র পরিস্থিতি মানুষকে সফল জীবনের পথ দেখায়। জীবনে যারা সফল হয়েছেন ,তাদের প্রত্যেকেই নানামুখি প্রতিকুলতা কাটিয়ে ওঠেছেন। আপনি যদি একজন সফল মানুষ হতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই সফল মানুষের জীবনের গল্পগুলোকে জানতে হবে। পড়তে হবে। সাহাবায়ে কেরাম , তাবিঈ ,তাবে তাবিঈ কিংবা সালাফগণের জীবনের পরতে পরতে ঘটে যাওয়া এমন গল্পগুলো আমাদের জানা দরকার খুব। এতে করে আমাদের ঈমানী শক্তি বৃদ্ধি পাবে । জীবনকে সাজাতে পারবো ইচ্ছেমতো ইনশাআল্লাহ। ‘মহৎ জীবনের গল্প’ বইটিতে এমন কিছু গল্পের অবতারণা করা হয়েছে। বইটি সুখপাঠ্য হবে আশা করছি। সাধারণ গল্পগুলো থেকে একটু বেশি স্বাদ
আতাউল হক জালালাবাদী ১৯৬৬ ঈসায়ির ১০ আগস্ট, ঢাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। নসব: তাঁর সম্মানিত পিতা- বাংলাদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলিম, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের দীর্ঘদিনের খতীব (১৯৮৪-২০০৭ ঈসায়ী), খতীবে মিল্লাত উবায়দুল হক বিন জহুরুল হক বিন উমেদ রেজা বিন আদিল রেজা রহ.। শিক্ষাজীবন: ১৯৭৩ ঈসায়িতে তাঁর শিক্ষাজীবনের সূচনা হয় জামেয়া ক্বাসিমুল উলূম দরগাহ, সিলেট-এ । ১৪০৭ হিজরি মোতাবেক ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে এখান থেকেই তাকমিল ফিল-হাদিস সম্পন্ন করেন। অতঃপর বিশ্ববিখ্যাত দ্বীনি দরসগাহ দারুল উলূম করাচিতে তিন বছর অধ্যয়ন করে তাখাসসুস ফিল ফিক্হ সম্পন্ন করেন । উল্লেখযোগ্য শিক্ষকগণ: তাঁর আসাতিযার মধ্যে আরিফ বিল্লাহ আকবর আলী রহ., শায়খুল ইসলাম মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি দা.বা., মাও. শফিকুল হক বুলবুল গাছবাড়ি, মাও. আব্দুল্লাহ বার্মী, মাও. কামারুদ্দিন রহ. অন্যতম। বিশেষ ইজাযত: নিয়মতান্ত্রিক উস্তাদগণ ছাড়াও তিনি মাও. সালিম কাসিমি, মাও. মুহাম্মদ তাহির কলকাতা, মাও. মুহাম্মদ আশিকে এলাহি বুলন্দশহরী, মাও আনযর শাহ মাসউদি, মুফতি রফি উসমানি, মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি থেকে হাদিসের বিশেষ ইজাযত লাভ করেছেন। কর্মজীবন: শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করেই ১৪১০ হিজরি, মোতাবেক ১৯৯০ ঈসায়িতে জামেয়া ক্বাসিমুল উলূম দরগাহ শাহজালাল রহ. সিলেট-এ খিদমাতে নিয়োজিত হন। বর্তমানে তিনি জামেয়ার মুহাদ্দিস ও নাজিমে তালিমাত (শিক্ষাসচিব)-এর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাসনিফাত: তাঁর রচনাবলির মধ্যে রয়েছে- আত-তাযকিরুল ফাওরী (তাকরিরে তিরমিযি), আয-যাওয়াইদ (শরহে আকাইদের টীকা), হেদায়াতুস সাবিল (লি-হল্লে শাওয়াহিদে শরহে ইবনে আকিল), আদর্শ জীবনের গল্প, মহৎ জীবনের গল্প । তাঁর অনূদিত গ্রন্থাবলির মধ্যে রয়েছে- ওজালায়ে নাফিয়া, পারিবারিক কলহ ও প্রতিকার, মালবুদ্দামিনহু ইত্যাদি । পরিবার: সাংসারিক জীবনে তিনি ১ ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক । বর্তমান ঠিকানা: বর্তমানে তিনি মিতালী ১০/২, সুবিদবাজার, সিলেট-এ বসবাস করছেন।