একজন নারী তার জীবনপরিক্রমায় কখনো বাবা-মায়ের আদরের দুলালী, কখনো স্নেহময়ী বোন, কখনো প্রেমময়ী স্ত্রী, কখনো মমতাময়ী মা, কখনো শ্বশুর ঘরের দায়িত্বশীলা পুত্রবধূ, কখনো মাতৃরূপা শাশুড়ি।
এর প্রতিটি পর্যায়ে তাকে নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। পালন করতে হয় নতুন নতুন দায়িত্ব। দাঁড়াতে হয় নতুন ভূমিকায়।
এখানে একটা বিষয় উল্লেখ্য, এই সব সম্পর্কের প্রতিটি বিষয়ই বান্দার হকের সাথে সংশ্লিষ্ট।
একজন মুসলিমকে—তিনি পুরুষ হোন কিংবা নারী, আল্লাহর হকের সাথে বান্দার হক যথাযথভাবে পালন করা একটি জরুরি ফরজ।
আমাদের সমাজে পুরুষদের চেয়ে নারীর সামাজিক পারিবারিক সম্পর্কগুলো অধিক জটিল। অন্তঃপুরের নীরব পরিমণ্ডলের নিত্যকার জীবনে কত জুলুম, নিপীড়ন, অশান্তি, কলহ, অসহায় অশ্রু এবং অবাধ্যতার কাহিনি রচিত হচ্ছে তার হিসাব কে রাখে?
এসবের অধিকাংশের জন্য দায়ী নারীর শিক্ষার অভাব, অদক্ষতা, অযোগ্যতা এবং মানিয়ে নিতে না পারা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারী নিজেই নিজের সর্বনাশ টেনে আনে । একজন মা যখন কন্যাকে লাজুকতার আবরণ ত্যাগ করে কথিত ‘মডার্ন’ হওয়ার পথে এগিয়ে দেন, স্ত্রী যখন স্বামীর আনুগত্যকে মনে করে দাসত্ব, পুত্রবধূ যখন শাশুড়িকে মনে করে অনধিকার চর্চাকারী, শাশুড়ি যখন পুত্রবধূকে দেখে অযাচিত অনাহূত বাইরের মানুষের মতো তখন স্বাভাবিকভাবেই কলহ ও সংঘাত অনিবার্য হয়ে ওঠে এবং তার দায় নারীর উপরই বর্তায়।
জীবনের এই প্রতিটি পর্যায় একজন নারী কীভাবে সফলতার সাথে পার হবেন, কীভাবে আল্লাহর হকের সাথে বান্দার হকের সমন্বয় করবেন তার অনবদ্য সুন্দর নির্দেশনা রয়েছে বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে।