৩১ দফা কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট অনেক ক্ষেত্রে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গৃহীত উদ্যোগ ছিল সফল ও জননন্দিত। মানুষ তাঁর কর্মময় জীবনকে আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। তিনি বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নের সোপানে এগিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতা সব সময় আমাদের জন্য সহায়ক শক্তি। জননেতা তারেক রহমানের বক্তৃতায় আমরা তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্য সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনা পাই। তাঁর গৃহীত কর্মসূচি কল্পনার ভিত্তিতে গড়ে ওঠেনি বরং তাঁর লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গির ঐক্য গড়ে উঠেছে যুক্তি ও নৈতিকতার মানদণ্ডে। উদাহরণস্বরূপ, শিল্পখাতের বিকাশে বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ ও সমন্বিত শিল্পকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টি তিনি শিল্প মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করেছেন। আধুনিক বিশে^ এ এক নতুন ধারা। বর্তমানে দর্শন বলতে কেবলমাত্র কল্পনার ওপর নির্ভরশীল বিষয় বুঝায় না, বরং জীবন ও জগৎকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করাই হলো আধুনিক রাষ্ট্রদর্শন। ৩১ দফা কর্মসূচির বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণই হলো জননেতা তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন।
১ জানুয়ারি ’২৫ জননেতা তারেক রহমান তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ছাত্র-জনতার দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এবার বৈষম্যহীন মানবিক দেশ গড়ার পালা। তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশকে অগ্রসর করতে হলে সংস্কার একটি অনিবার্য ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে টেকসই ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর পন্থা। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচিতে জননেতা তারেক রহমানের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে।
Title
৩১ দফা কর্মসূচি : জননেতা তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন