আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের প্রতিবাদের শক্তিশালী ভাষা কবিতা। কবিতায় যতখানি দ্রোহের সঞ্চার সম্ভব সেটা হয়তো সাহিত্যের অন্য কোনো শাখায় সম্ভব না। “আঠারোর পর চব্বিশ” বইটি দীর্ঘ ১৬ বছরের নব্য-বাকশালী শাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অদম্য ছাত্রদের হৃদয়ের অগ্নিস্ফুলিঙ্গকে ধারণ করে লেখা।
বইটিতে জনতার ওপর শাসকরূপী শোষকের নির্দয় শোষন আর তার বিরুদ্ধে বীর সন্তানদের সংগ্রামের চিত্র ফুটে উঠেছে। স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশেও নাগরিক যে কেবলই ‘তৃতীয় শ্রেণির প্রজা’ হতে পারে, এবং সেই ‘তৃতীয় শ্রেণির প্রজা’র ওপর ‘প্রথম শ্রেণি’ অর্থাৎ শোষকের অবজ্ঞা-ঘৃণা আর ‘দ্বিতীয় শ্রেণি’ অর্থাৎ শোষকের পদলেহনকারী গোষ্ঠির নির্মম অত্যাচারের স্মৃতি এখনো আমাদের মানসপটে দগদগে ঘায়ের মত বাস্তব। এই বইটি পড়লে সেই দুঃসহ স্মৃতি মানসপটে আরও জীবন্ত হয়ে ওঠে। একই সাথে শোষক ও তার পদলেহনকারীর বিরুদ্ধে আঠারো এবং চব্বিশের দুটি শক্তিশালী আন্দোলনের যে স্ফুলিঙ্গ তা আবারও প্রজ্জ্বলিত হয়, বুকের ভেতর দাবানলের মত ছড়িয়ে যায় মাতৃভূমিকে রক্ষায় শত্রুর প্রতি দ্রোহ ও প্রতিরোধের প্রবল আকাঙ্ক্ষা।
এই বইয়ের সবগুলো কবিতাই ছন্দ মিলিয়ে লেখা। ছন্দ কবিতায় বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে তোলা বেশ কঠিন কাজ। বইয়ের লেখক শেখ মামুন দেশমাতৃকার বীর সন্তান, তিনি বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন নব্য-বাকশালের বিরুদ্ধে। একইসাথে তিনি পরিশ্রমী সাহিত্যিক। সেজন্যই হয়তো তিনি এই কঠিন কাজটি করতে পেরেছেন।
Report incorrect information