আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে এই পৃথিবীতে স্বাধীনভাবে সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু সমস্যা হলো, এই মানবজাতি জানে না তাদের এই স্বাধীনতাকে তারা কোন পথে ব্যবহার করবে, এই স্বাধীনতাকে কিভাবে ব্যবহার করলে তারা তাদের নিজেদের জীবনে সুখ-শান্তি অনুভব করবে। তাছাড়া তাদের দ্বারা অন্যদের সুখ-শান্তিও বিঘ্নিত হবে না, এ বিষয়টিও মানবজাতি ব্যতীত অন্য কোনো প্রাণী অনুধাবন করতে পারে না। ইরশাদ হয়েছে-
আমাদের প্রতিপালক তিনি যিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার আকৃতি দান করেছেন। অতঃপর পথনির্দেশ করেছেন।"
অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতিটি সৃষ্টিই তার প্রয়োজনীয় জ্ঞান নিয়েই এ পৃথিবীতে আসে। জীবনের পদে পদে যে প্রয়োজনের মুখোমুখি তারা হয় সে প্রয়োজন পূরণ করার জ্ঞান ও নির্দেশনা তারা জন্মগতভাবেই লাভ করে। আমরা লক্ষ্য করলে দেখবো, একটি মুরগির ডিম থেকে একুশ দিন তা' পাওয়ার পর যখন একটি বাচ্চা বেরিয়ে আসে তখন সে সঙ্গে সঙ্গেই নিজ উদ্যোগে খাবার খেতে শুরু করে। খাবার খাওয়া তাকে শিখিয়ে দিতে হয় না। অথচ আমাদের সন্তানরা একুশ মাস পরও নিজহাতে খেতে পারে না, খাইয়ে দিতে হয়। অথচ মুরগির বাচ্চা জন্মগ্রহণের পাঁচ মিনিট পরই খেতে শুরু করে। সে তার মাকে এই আবাদার করে না- আমাকে খাইয়ে দাও। এ ও জিজ্ঞেস করে না, কিভাবে খেতে হবে দেখিয়ে দাও। তাছাড়া কোনটা আমার উপকারী, কোনটা অপকারী তাও তাকে দেখিয়ে দিতে হয় না।