Category:ব্যবসা ও অর্থনীতি বিষয়ক প্রবন্ধ, গবেষণা ও পরিসংখ্যান
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
উত্তম, মধ্যম, মন্দ ও জঘন্য- মুদ্রা এই চার প্রকারের হতে পারে। অর্থনীতির জগতে অপেক্ষাকৃত স্বল্পপরিচিত অস্ট্রীয় ঘরানার দৃষ্টিকোন থেকে ডলার, ইওরো কিংবা বাংলাদেশের টাকা, প্রত্যেকটি মন্দ কিংবা জঘন্য মুদ্রা। অর্থকে অনর্থের মূল বলা হয়ে থাকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মন্দ বা জঘন্য মুদ্রাই যাবতীয় আর্থ অনর্থের মূল। এই মুদ্রাগুলো একেকটি বুভুক্ষু, সর্বভুক রাক্ষস, যারা কিনা আপনার-আমার-সবার সারা জীবনের সঞ্চয় বেমালুম হজম করে নিয়ে মূলধন গঠিত হতে দিচ্ছে না। এই 'মুদ্রারাক্ষস'-দের কারণে সঞ্চয়-ভিত্তিক না হয়ে বিনিয়োগ হয়ে উঠেছে ঋণভিত্তিক, যার পরিণামে পরিবার ও সমাজ-যুগান্তরের এই দুই বুনিয়াদি প্রতিষ্ঠান আজ বিশ্বব্যাপী অনর্থক ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
মুদ্রারাক্ষসের কবল থেকে ব্যক্তি ও সমাজকে সুরক্ষা দিতে একাধারে মন্দমুদ্রা এবং তাদের বিচরণক্ষেত্র কিনসীয় অর্থনীতির চরিত্র সম্যক অনুধাবনের প্রয়োজন রয়েছে। বিটকয়েনের মতো কোনো ক্রিপ্টোমুদ্রা কি একেকটি মন্দমুদ্রার বিকল্প হয়ে উঠতে পারবে? দূর করতে পারবে কি ব্লকচেন চলমান অর্থব্যবস্থা ও বর্তমান প্রশাসনের বেশির ভাগ ত্রুটি? ডলার, ইওরো বা টাকা কেন খামাখা মন্দমুদ্রা বলে বিবেচিত হবে? অনুরূপ সব প্রশ্নের উত্তর দেবে সহজগম্য অথচ সুগ্রস্থিত বাক্যবিন্যাসে, মজলিশী ভঙ্গীতে রচিত সমসাময়িক সামষ্টিক অর্থনীতির নির্বিকল্প, অনন্য ঋজুপাঠ। 'মুদ্রারাক্ষস'।
Report incorrect information