লেখালেখি আমার কাছে শুধু কাগজে কলম চালানো নয়, এটি আমার অনুভূতির প্রতিচ্ছবি। জীবনের পথে হাঁটতে হাঁটতে অনেক কিছু দেখি, অনুভব করি, কখনো হাসি, কখনো কাঁদি। সেই অভিজ্ঞতাগুলোই কখনো গল্প হয়ে ওঠে, কখনো চরিত্রের মাঝে ঢেলে দেই আমার দেখা বাস্তবতা।
“সে অপেক্ষায় আছে”—এই বইটি তেমনই এক অনুভূতির ফসল। এখানে রয়েছে বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি, মানুষের আবেগ-অনুভূতি, অপেক্ষার ব্যাকুলতা, আর কিছুটা কল্পনার মিশ্রণ। এই গল্পটি আমার খুব কাছের, কারণ এর প্রতিটি মুহূর্তে আমি নিজেকে খুঁজে পেয়েছি। লেখার অনুপ্রেরণা এসেছিল হঠাৎ করেই। কোনো এক সন্ধ্যায়, কোনো এক গল্প শুনে, বা হয়তো নিজের জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা ফিরে তাকিয়ে দেখেই। আমি অনুভব করলাম, অপেক্ষা শুধু সময়ের বিষয় নয়, এটি অনুভূতিরও ব্যাপার। কেউ অপেক্ষা করে প্রিয়জনের জন্য, কেউ স্বপ্নপূরণের জন্য, আবার কেউ অপেক্ষা করে এমন কিছুর জন্য যা সে নিজেও জানে না।
এই বইয়ের প্রতিটি চরিত্র, প্রতিটি অধ্যায় যেন জীবনের একেকটি স্তর তুলে ধরেছে। বাস্তবতার রঙে রাঙানো হলেও, মাঝে মাঝে কল্পনার মেঘ এসে ঢেকে দিয়েছে বাস্তবতার সূর্যকে। ঠিক যেমন আমাদের জীবনেও বাস্তবতার মাঝে কল্পনা এসে ঠাঁই নেয়।
আমি আশা করি, পাঠকগণ এই গল্পের প্রতিটি অনুভূতি উপলব্ধি করবেন, চরিত্রগুলোর সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করবেন, এবং হয়তো নিজের জীবনের কোনো অপেক্ষার মুহূর্তের সঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন।এই বইটি লেখার সময় আমি অনেক আবেগের ভেতর দিয়ে গিয়েছি, কখনো আনন্দ, কখনো বিষাদ।
আশা করি, আপনাদের পাঠের সময়ও এই অনুভূতিগুলো স্পর্শ করবে। পাঠকদের প্রতি রইল আমার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আপনাদের প্রতিক্রিয়াই আমার লেখার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।
মোঃ শফিউর রহমান ১৯৯৫ সালের ১৯শে নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহন করেন। লেখকের গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার সরদহ নামক একটি সুন্দর মায়াভরা গ্রামে। তাঁর পিতার নাম মোঃ শফিকুর রহমান, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবি, একাধারে তিনি একজন চিত্রশিল্পী, নাট্যকার ও লেখক; একসময় অনেক দাপটের সাথে নিজের লেখা নাটকে মঞ্চস্থ করতেন। মাতা-মোসাঃ মুক্তা বেগম, একজন আদর্শ গৃহিণী। দুই বোন ও এক ভাই এর মধ্যে লেখক তৃতীয় বা কনিষ্ঠ। লেখক “সরদহ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়” থেকে এস.এস.সি (বিজ্ঞান) এবং “সরদহ সরকারি মহাবিদ্যালয়” থেকে এইচ.এস.সি (বিজ্ঞান) পাশ করেন। এছাড়াও তিনি “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের” আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এল এল. বি (সম্মান) এবং এল এল.এম (মাস্টার্স) ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি “সারদা প্রি-ক্যাডেট স্কুল” এ শিক্ষকতা করছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস “রহস্যময় ক্যানভাস”। পিতার মতো তিনিও লেখালেখি ও চারুকলায় বেশ পটু।