Category:রহস্য ও গোয়েন্দা
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
ডিটেকটিভ হিরোশির জগতে পাঠকদের স্বাগতম!
টোকিও শহরের হোয়াইট কলার অপরাধগুলোর তদন্ত করাই ডিটেকটিভ শিমিজু’র কাজ। বান্ধবী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে, আমেরিকায় ফিরে গিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দেবার স্বপ্ন সে দেখে ঠিকই, কিন্তু টোকিওতে ভালো একটা চাকরি, নিজস্ব অফিস আর খালি থাকা একটা অ্যাপার্টমেন্টের আরাম সে ছাড়তে পারছে না।
এক আমেরিকার ব্যবসায়ীর মৃত্যুর পর তার গুরু (!) কিংবা পথপ্রদর্শক তাকামাতসু তাকে ভয়াবহ বীভৎস এক খুনের ঘটনাস্থলে ডেকে আনে। সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে ধারণা করা হয় খুনি এক মেয়ে—কিন্তু জাপানে তা ঘটা অসম্ভবের মতো। হিরোশি অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পারে, উচ্চগতির ট্রেন ভর্তি এই শহরে ট্রেনের সামনে ভুলক্রমে কিংবা ধাক্কা খেয়ে পড়ার মধ্যেই রয়েছে খুন আর আত্মহত্যার পার্থক্য।
তাকামাতসুর চাপে পড়ে সে তদন্ত শুরু করে ঠিকই, তবে কিছু সময় পর তাকামাতসু উধাও হয়ে যায়। তখন হিরোশি যোগ দেয় প্রাক্তন ‘সুমো কুস্তিবিদ’ পুলিশ সাকাগুচির সাথে। টোকিওর পবিত্র মন্দিরগুলো, কর্পোরেট অফিসে, পরিত্যক্ত কারখানাগুলোতে তারা তন্নতন্ন করে খুঁজতে থাকে তাকামাতসুকে, বের করার চেষ্টা করে মেয়েটার খুন করার পেছনের মোটিভ। আপাতদৃষ্টিতে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও কেন মেয়েটা একের পর এক খুন করে বেড়াচ্ছে?
আমেরিকাতে বহুবছর নির্ঝঞ্ঝাট পরিবেশে সময় কাটানোর পর হিরোশি নিজেকে আবিষ্কার করে এমন একটা শহরে, যেখানে শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ভর করে শহরের অন্ধকার জগতে বাস করা আবর্জনার মতো মানুষ, গুণ্ডা আর টাকার বিনিময়ে শরীর বিকিয়ে দেয়া অল্পবয়সি মেয়েদের ওপর।
হিরোশির পক্ষে কি মেয়েটাকে থামানো সম্ভব? নাকি সেও পরিণত হবে মেয়েটার খুনের তালিকায় থাকা একটি নামে?
Report incorrect information