সরা পটে বসে আছেন মা লক্ষ্মী। আদতে বসে আছেন কচ্ছপের পিঠে। ওখান থেকে স্নেহ প্রেম ভক্তি গড়িয়ে পড়ছে আস্তে আস্তে। ধন বৃদ্ধি ও ধীরে ধীরে হয়। এই জন্যেই তান্ত্রিক লক্ষ্মীর বাহন কচ্ছপ ধীরগতির। কিন্তু কচ্ছপের পিঠের মত জমিতে যখন অঘোর লক্ষ্মী প্রতিষ্ঠিত করা হয়, ওখান থেকে বিদ্বেষ, হিংসা, ভালো মন্দ সব গড়িয়ে যায়। অঘোর লক্ষ্মীর পুজোয় তাই মিশ্রফল আসে। চট করে ধনলাভ হয়, রাজ্যলাভ হয়, সম্পদ ও প্রতিপত্তি বেড়ে যায়। কিছু সময় পেরোতেই অর্থ ও সম্পদ নিয়ে বিদ্বেষ, খুনোখুনি শুরু হয়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল যক্ষ। এদের মধ্যে কামুকতা বেশি। এঁরা মানুষদের সহযোগিতা করেন। যক্ষরা সুন্দরী গুণবতী রমণীদের সাহায্য করেন আর যক্ষিণী করেন সুদর্শন গুণবানদের। অনেক সাধক জানেন শৃঙ্গার বিদ্যা। যার মাধ্যমে যক্ষ যক্ষিণীদের আকর্ষণ করে আনা যায়। এদের উর্যার সাহায্য নিয়েই অসম্ভবকে সম্ভব আর সম্ভবকে অসম্ভব করে ফেলা যায়।
যক্ষলক্ষ্মীর বাহন প্রেত সেই যক্ষ সত্তার অংশ। অঘোর বিদ্যায় এর প্রয়োগ প্রচলিত আছে। যিনি কোন কিছু রক্ষার জন্য যক্ষ প্রেত তৈরি করবেন সেই ব্যক্তির রক্ত বইছে এমন কোন সন্তানকে অমাবস্যায় অঘোর লক্ষ্মী ক্রিয়া করে পুজো সেরে বলি দেন। বলির পরেই কাটা মাথা হাতে নিয়ে কানে কানে বলে দিতে হয় কোন বস্তু রক্ষা করতে হবে। সেই মাথা মাটিতে পুঁতে তার ওপর আমলকী, অশ্বত্থ, মহানিম এসব সিদ্ধবিদ্যা লাভজনক গাছ লাগিয়ে দিতে হয়।