আরবি ভাষা শেখার আমাদের মৌলিক লক্ষ্য, আল-কুরআন ও হাদিস সরাসরি পড়ে বোঝা এবং সেই অনুযায়ী জীবন গড়া। আর নিঃসন্দেহে বোঝার জন্য আল-কুরআন সহজ করেই অবতীর্ণ হয়েছে।
যেকোনো ভাষা অনুধাবন করার জন্য ভাষার জ্ঞান প্রয়োজন। আর এজন্য আরবি ব্যাকরণের মৌলিক জ্ঞান জরুরি। এর সাথে আরবি শব্দভান্ডারের সঙ্গে পরিচিত হওয়াটাও প্রয়োজনীয়।আল-কুরআনের আয়াত পড়ে তার অর্থ বুঝতে গেলে, বাক্যটির কোনটি ক্রিয়া, কোনটি কর্তা, কোনটি সম্বন্ধপদ, এদের অর্থ—কী এসব বোঝা জরুরি। তা বুঝতে না পারলে আয়াতের অর্থ নিজে বোঝা ও বক্তব্য অনুধাবন করা সম্ভব নয়, অনুবাদ ছাড়া। আর কোনো অনুবাদই পূর্ণাঙ্গ নয়।
এ ছাড়া আরবি প্রতিটি শব্দ ব্যাকরণের ছাঁচে বা ফর্মে এসে রূপ বদলায়, নাম বা ক্রিয়াপদের মূলশব্দ ঢাকা পড়ে, এর সঙ্গে পরিচিত হওয়া জরুরি।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আমরা আরবি ব্যাকরণের প্রয়োগ বিশ্লেষণ করে আল-কুরআনের আয়াতসমূহ সংকলন করেছি। আয়াতের প্রতিটি ‘শব্দের’ নিচে শব্দ গঠনের উপাদানগুলি ( ) যোগ চিহ্ন দিয়ে আলাদা করে ব্যাকরণের পরিভাষায় সংক্ষেপে তুলে ধরেছি। এরপর তৃতীয় বন্ধনীর মধ্যে ‘শব্দমূল’ উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি শব্দের বাংলা অর্থ উল্লেখ করা হয়েছে।
শব্দ ও আরবি পদসমূহের ব্যাকরণগত ‘বর্ণনা’ আরবি ভাষায় প্রায় একরূপ বিধায়, গ্রন্থের শুরুতেই নমুনা তারকীব (বর্ণনাচিত্র)-পদসমূহের ব্যাকরণগত আরবি বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে । এতে পাঠক আরবি পদ-বর্ণনার ও তারকীবের ধরন বা স্টাইলে সহজেই অভ্যস্ত হতে পারবেন। গ্রন্থে ব্যবহৃত আরবি ব্যাকরণের পরিভাষাসমূহের বাংলা অর্থ প্রথমেই উল্লেখ করা হয়েছে ।
নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে আল-কুরআনের আয়াতসমূহ সংকলন করেছি।