মানুষের চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই। কেউ বা চায় পছন্দের মানুষকে আজীবন কাছে রাখতে অনেকেই চায় নিজেকে উচ্চতার শিখরে আরোহণ করতে। কিন্তু সব চাওয়া পাওয়া কি আর পূরণ হয়? হয়না।
জীবনটা ছোট তবুও ইচ্ছে আশা স্বপ্ন ছাড়া কোন মানুষ নেই। জীবন কখনো থেমে থাকে না। তেমনি জীবনে চলার পথে প্রতিটি ধাপে ধাপে সকলেই কারো না কারো সংস্পর্শে আসে এবং চেনাজানা হয়ে যায়। চেনাজানা থাকা সত্ত্বেও সকলেই যার যার গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়। এই ছুটতে ছুটতে এক সময় দূরত্বে চলে যায়। একদিন হয়ে যায় অপরিচিত! অপরিচিত হয়ে যাওয়ার পরও অনেকেই তার স্মৃতিকে আগলে রেখে ছুটে চলে, নিজেকে একজন সফল গ্ৰহণযোগ্য মানুষ হিসেবে প্রমাণ করার। মানুষ যায় করুক ভালোবাসা ইচ্ছে শক্তি অনুপ্রেরণা ছাড়া কিছুই করতে পারে না।
আমরা সকলেই মানুষ আমাদের জীবনে সবচেয়ে বড় কাম্য হচ্ছে অর্জন, সফলতা। প্রত্যকেই কম বেশি করে। আমি মনে করি কোনো অর্জন সর্বোচ্চ নয়। প্রত্যেক অর্জনই সর্বোচ্চ। অনেকেই আবার মনে করে সার্টিফিকেট থাকলেই অর্জন সফলতা আসে। আসলেই কি তাই?
হ্যাঁ তবে সার্টিফিকেট অর্জন করেছে ডজন খানেক এটাই অর্জন। কঠোর পরিশ্রমের পর অর্জন সফলতা আসে। প্রতিটি মানব জীবনে অর্জন সফলতা ব্যক্তি হিসেবে আলাদা হয়ে থাকে। কারো কাছে ব্যবসায় উন্নতি, চাকরিতে প্রমোশন, কারো কাছে অঢেল টাকার মালিক হওয়া, আবার কেউ কেউ প্রিয় মানুষকে নিয়ে ভালো থাকতে পারলেই নিজেকে সুখী মানুষ হিসেবে ভাবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
মোঃ ইমদাদুল হক যশোর জেলা সারসা উপজেলায় এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই টুকটাক লেখালেখির মাধ্যমে এই ভুবনে আসেন। বর্তমানে মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। তার প্রথম একক উপন্যাস “কাছে থেকেও দূরে” ২০২৪ বইমেলায় প্রকাশ হয়। এছাড়াও আরো কিছু যৌথ কাব্যগ্রন্থে তার লেখা প্রকাশ হয়েছে। উল্লেখ যোগ্য যৌথ কাব্যগ্রন্থ- নিস্তদ্ধ শহরে দাঁড়িয়ে থাকা ল্যাম্পপোস্ট, দু-কূলে কাঁদি দু-জন, প্রিয় কাব্য, শত রূপে শত কবিতা, কবিতা সঞ্চয়, এক মহাকাল ব্যথা, সীমাহীন ভালোবাসা, অনুভূতির দেয়াল, কারাগার, অদ্ভুদ মানুষ ইত্যাদি।