কোন ত্যাগকে অস্বীকার করা যায় না। ‘পেছনে পুলিশ সামনে স্বাধীনতা’ কিংবা ‘পানি খাবে পানি’ স্লোগানগুলো স্বৈরাচার বিরোধী ‘গণঅভ্যুত্থানে’ রূপ ইতিহাস হয়ে আছে।
১৯৭১-র মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে লক্ষ মা-বোন অপসানিত হয়েছেন। আমরা তাঁদের ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধি দিয়ে সমাজে ‘চিহ্নিত’ করেছি। সে ‘বীরাঙ্গনাদের’ গর্ভে যে শিশুর জন্ম, তাদের পুনর্বাসনের কোন ব্যবস্থা করিনি। স্বাধীনতা পঞ্চাশ বছর পরও তাদের সে কলংক মাথায় নিয়ে প্রতিনিয়ত তাঁরা নিগৃহীত হচ্ছেন। তাঁদের খবর কি আমরা রাখতে পেরেছি? তাঁদের নিয়ে আমার নাটক ‘আমাদের বকুল’। আমার আরেকটি নাটক ‘ওদের বাঁচাতে হবে’। এই নাটকটি ১৯৮৪ সালে আবুধাবীতে সেন্ট জোসেফ মিলনায়তনে ‘মঞ্চস্থ’ হয়েছে। পরিবেশনায় ছিল বাংলাদেশ যুবসেনা ইউ.এ.ই, বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন মাননীয় শ্রম মন্ত্রী, বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে সফররত প্রতিনিধি দল প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ‘ওদের বাঁচাতে হবে’ নাটকটি প্রবাসী শ্রমিকদের একটি ‘জীবন্ত’ ছবি। অনেক আশার ভেলায় চড়ে মানুষ বিদেশ পাড়ি দেয়। নিয়তির সংঘাতে সে স্বপ্ন অনেক সময় ধুলিসাৎ হয়ে যায়। এখানে ‘যুব সমাজ’ কে বাংলাদেশের সচেতন দেশপ্রেমিক যুবগোষ্ঠীর প্রতীক হিসেবে নেয়া হয়েছে। তবে আপনি যদি একটু মানবতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ নিয়ে আপনার আশেপাশে তাকান তবে তাদের খোঁজ পাবেন। আপনার একটু সহানুভুতি একটি জীবন তথা একটি পরিবারকে বাঁচাতে পারে।
Report incorrect information