"মমতা": রাষ্ট্র, সমাজ ও ধর্মের প্রতিচিন্তায় জেগে থাকা এক কাব্যিক চেতনা।
কবিতার কাজ শুধু সৌন্দর্য নির্মাণ নয়—সে হতে পারে প্রতিবাদের কণ্ঠ, বোধের আলো, আর ভবিষ্যতের নির্দেশনা। "মমতা" কাব্যগ্রন্থ ঠিক সে পথেই এক সাহসী পদচারণা। এখানে কবি শুধু প্রেম কিংবা প্রাকৃতিক রূপের বর্ণনায় সীমাবদ্ধ নন, বরং তিনি কবিতাকে ব্যবহার করেছেন সমাজ, রাষ্ট্র ও ধর্মীয় বাস্তবতার এক প্রজ্ঞাবান ব্যাখ্যাকারী হিসেবে।
এই গ্রন্থে কবিতাগুলি যেন এক একটি প্রতিরোধের ব্যূহ, যেখানে রাষ্ট্রের অবিচার, সমাজের বৈষম্য, আর ধর্মের নামে প্রচলিত কুসংস্কারের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে একজন সচেতন কবি। তার কণ্ঠে আছে মমতা—কিন্তু সেটি দুর্বলতার নয়, বরং মানবিকতার মূর্ত প্রতীক। এই "মমতা" কখনো শিশু অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে, কখনো সংখ্যালঘু মানুষের অবস্থা নিয়ে ব্যথিত হয়, আবার কখনো রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে উচ্চারণ করে সতর্ক বার্তা।
একটি কাব্যগ্রন্থ যখন চিন্তার সীমা পেরিয়ে জাগরণের ভূমিকা নেয়, তখন সেটি হয়ে ওঠে সময়ের দলিল। “মমতা” সেই দলিল—যা পাঠককে শুধু ভাবায় না, বরং দায়িত্ববান করে তোলে। কবিতার মাধ্যমে সমাজকে আয়নায় দেখানো ও কল্যাণের দিশা দেখানোই এই বইয়ের বড় অর্জন।
Report incorrect information