বাংলার ইতিহাসে গত ৮৬ বছরে জন্ম নেয়া একমাত্র গ্লোবাল সেলিব্রেটি হলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শতকরা তিরাশি ভাগ লোকই ভালো করে জানেন না ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারকে। পৃথিবীতে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার নোবেল, সেটা নিশ্চয়ই জানেন? সম্মানসূচক হিসেবে নোবেলের পরে কোন পুরস্কারের অবস্থান আছে তা কি জানেন?
সম্মানসূচকের পর্যায়ক্রম
১. নোবেল, ২. এ্যামেরিকার প্রসিডেন্সিয়াল এওয়ার্ড, ৩. মার্কিন কংগ্রেশনাল এওয়ার্ড। পৃথিবীর ইতিহাসে উপরের তিনটা পুরস্কারই জিতেছেন এমন মানুষ আছে বা ছিলেন ১২ জন। বুঝতেই পারছেন পরের লাইনগুলো কি হবে,-হ্যাঁ, সেই ১২ জনের একজন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মেসিকে নিশ্চয়ই চিনেন। যদি বলি এই লিওনেল মেসি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য, বিশ্বাস হয়, না হলেও সত্যি।
'অলিম্পিক গেমস' পৃথিবীর সম্মানজনক প্রতিযোগিতার একটি। জাপানে অনুষ্ঠিত ২০২০ সালের অলিম্পিকে মশাল বাহক ছিলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস।
বর্তমানে বিশ্বের লিভিং ইন্টালেকচুয়ালের যেকোনো তালিকায় প্রথম ১০ এর ভিতরে থাকেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মুসলিম বিশ্বে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিকল্প খুঁজে পাওয়াটা খুব কঠিন। আর এই ড. মুহাম্মদ ইউনূসই বাংলাদেশের সন্তান। এদেশে আর এমন কেউ জন্মাবে কিনা সেটা ভবিষ্যৎ জানে।
ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্রীভাবে 'সুদখোর' ডাকা হয় বারবার। মজার ব্যাপার হলো- মুহাম্মদ ইউনূসকে যারা পছন্দ করেন তাদের বেশিরভাগও জানেন না, মুহাম্মদ ইউনূসের সুদের ব্যবসা নাই। গ্রামীণ ব্যাংক তার প্রতিষ্ঠিত হলেও গ্রামীন ব্যাংকে তাঁর এক টাকারও মালিকানা নাই, শেয়ারও নাই। কখনোই ছিলও না।