আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
বইটি বিদেশি সাপ্লাইয়ারের নিকট থেকে সংগ্রহ করতে ৩০-৪০ দিন সময় লাগবে।
পূর্ববর্তী উপন্যাস ‘দ্যূতক্রীড়ক’-এ ব্রাত্য বসু আমাদের অবগাহন করিয়েছিলেন এক নিয়তিতাড়িত শিল্পীজীবনের গভীরে। শিশির ভাদুড়ির জীবনের প্রথম চল্লিশ বছর এবং সেইসঙ্গে প্রোথিত ছিল বাংলা রঙ্গালয়ের এক চলমান কালবিবরণী। এই উপন্যাসে সেই জুয়াড়ি জীবনের ভেলায় চেপে বাকি তিরিশ বছরের অনিবার্য তরঙ্গে ক্রমাগত অনিশ্চিত আরোহণ-অবরোহণ করি আমরা। শেষপর্যন্ত এই বাজিগর কি জীবনের শেষ খেলায় জিততে পারলেন? আধুনিক ও বদলে যাওয়া সময়ের বাস্তবতার বিপরীতমুখী স্রোতে তিনি কি ভেসে উঠতে পারলেন? নাকি সময় তার অমোঘ নিয়মে তাঁকে অবাঞ্ছিত ও বাতিল করে দিল? এই উপন্যাসে লেখা প্রত্যেক বাঙ্ময় পঙ্ক্তির মাঝে লেখকের নীরব ও গভীর অবলোকন এই প্রশ্নগুলোকে নিয়ে নাড়াচাড়া করে। নিছক আত্মজীবনের ধারাভাষ্য এই পাঁচটি দীর্ঘ অধ্যায়ে বিস্তারিত এই উপন্যাসের বিষয়বস্তু নয়। বরং লেখক এক নৈর্ব্যক্তিক দূরত্বে থেকে সন্ধান করেছেন জীবদ্দশায় যুগপৎ স্বীকৃত ও অবহেলিত একজন মানুষ ও তাঁর নিজস্ব সন্ধানের ব্যাপ্তি। এক নিবিড় গবেষণাকারীর মতোই তিনি অনুবীক্ষণ যন্ত্রের তলায় রেখে ভেঙেচুরে, ছিঁড়ে খুঁড়ে গ্রন্থিত করেছেন এক একটি শব্দ, এক একটি বাক্য। এই জীবন ও তার সময়সারণিতে রূঢ়-কঠিন অনায়াস সত্যগাথা বলে চলেন লেখক, আর অন্তর্বিস্ফোরণে ঝলসে উঠি আমরা।
Report incorrect information