ইসলামে, বিবাহ (আরবি: نِكَاح, প্রতিবর্ণীকৃত: নিকাহ) হল বিবাহযোগ্য দুইজন নারী ও পুরুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক প্রনয়নের বৈধ আইনি চুক্তি ও তার স্বীকারোক্তি।
ইসলামে কনে তার নিজের ইচ্ছানুযায়ী বিয়েতে মত বা অমত দিতে পারে।
একটি আনুষ্ঠানিক এবং দৃঢ় বৈবাহিক চুক্তিকে ইসলামে বিবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বর ও কনের পারষ্পারিক অধিকার ও কর্তব্যের সীমারেখা নির্ধারণ করে। বিয়েতে অবশ্যই দুজন মুসলিম স্বাক্ষী (দু’জন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দু’জন মহিলা) উপস্থিত থাকতে হবে। ইসলামে বিয়ে হল একটি সুন্নাহ বা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আদর্শ এবং ইসলামে বিয়ে করার জন্য অত্যন্ত জোরালোভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিয়ে ইসলামী বিবাহের মৌলিক বিধিবিধান অনুযায়ী সম্পন্ন করতে হয়। পাশাপাশি, ইসলামে সন্ন্যাসজীবন এবং কৌমার্যেরও কঠোর বিরোধিতা করা হয়েছে।
ইসলামে তালাক অপছন্দনীয় হলেও এর অনুমতি আছে এবং তা স্বামীর দায়িত্বেই থাকবে, তবে স্ত্রী চাইলে স্বামীর কাছ থেকে তালাকের অধিকার চেয়ে নিতে পারে এবং নিজের এবং স্বামীর পক্ষ থেকে তা নিজের উপর প্রয়োগ করতে পারে৷ এ ব্যাপারে বিস্তারিত করে, পরে লিখছি। ইসলামী আইন অনুসারে, বিবাহ - বা আরও বিশেষত বিবাহের চুক্তিকে নিকাহ বলা হয়, এটি একটি আরবি শব্দ, যার মূল আক্ষরিক অর্থ কুরআনে রয়েছে; তা বিবাহের চুক্তি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। জার্মান আরববাদী লেখক ওয়েহর-কোয়ান সংকলিত আধুনিক আরবি ডিকশনারি-তে নিকাহকে "বিবাহ; বিবাহ চুক্তি) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
দাদা মৌলভী ছালামত উল্লাহর একান্ত প্রিয় নাতি ছিলেন। ইসলামী ব্যক্তিত্বের জীবনী, নবী রাসূল দের জীবন কাহিনী ও ধর্মীয় উপদেশমূলক গল্প কাহিনী দাদা যেমন বলতেন, তেমনি দাদি সুফিয়া খাতুন সন্ধ্যার গল্প আসরে ও এসব বলতেন, যা লেখকের শিশু মনে যথেষ্ট রেখাপাত করেছিল। বাবা নূর মোহাম্মদ শফিকুল আলমের কঠোর অনুশাসন, এবং মা রেজিয়া খাতুনের পক্ষ থেকে পড়ালেখার জন্য অত্যাধিক চাপ, সবসময় বিদ্যা অনুশীলনের দিকে, জীবনের সময়টাকে ধাবিত করেছে। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সকল ধরনের বই পড়ায় ছোটবেলা থেকেই আগ্রহী ছিল। বিশ্ব সাহিত্যের ক্লাসিক উপন্যাস গুলো স্কুল জীবনেই পড়া শেষ করেছিলেন। নিজস্ব, সমৃদ্ধ একটি লাইব্রেরী ও গড়ে তুলেছেন নিজের ঘরে। ৮৬ সনে ঢাকা সিটি কলেজে পড়ার সময় থেকেই, ঢাকার প্রায় জাতীয় দৈনিকে বিভিন্ন লেখা ছাপা হয়। গল্প লিখে সে সময় সম্মানি পেতেন, পত্রিকাগুলো থেকে। পত্রিকায় ছাপা হওয়া, সাহিত্যের সব শাখা মিলে, লেখার সংখ্যা প্রায় হাজারের কাছাকাছি। শিশু কালে দাদা মৌলভী ছালামত উল্লাহর দ্বীনি সংস্পর্শ, অসংখ্য দ্বীনদার আলেম, মুফতি, মুহাদ্দেসের দ্বীনি সহচর্য, লেখনি চেতনায় নতুন মাত্রা যোগ করে। সেই থেকে ধর্মীয় বিষয়ে লেখা, মানুষ ও মানবতার উপকারে, সমাজের উপকারে, লেখালেখি করা প্রতিপাদ্য বিষয় হয়ে ওঠে, লেখকের জীবনে। তিনি কোমার ডগা, তিন নাম্বার ওয়ার্ড, লাকসাম, কুমিল্লা এর অধিবাসী। ইসলামী বিষয় নিয়ে গবেষণা করা, ইসলামী লেখা লিখতে নিজেকে সচেষ্ট রাখা, মানুষ ও মানবতার এবং সমাজের উপকারে ভালো লিখে, মহান আল্লাহকে খুশি করার চেষ্টায় ব্যতিব্যস্ত রয়েছেন। ইহকাল ও পরকালে মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা রহমত পাবার ইচ্ছায়,আমৃত্যু ইসলামের খেদমত করার প্রত্যয়ে, এখনো কলম চালিয়ে যাচ্ছেন।