অতঃপর হে প্রভু!
চলে যেতে হবে তাই চলেই যাবো ওপারে
নিয়মের ব্যত্যয় করবোনা কদাচ।
প্রকৃতিকে ভালোবাসি তাই,
তোমার স্বর্গোদ্যান দেখবো আমি
যেমনটা কথা দিয়েছো।
আমি ফুল ও ফলের বাগান দেখবো,
মৌমাছি প্রজাপতি ও অলির গুঞ্জন শুনবো।
শুনবো বিহগের কলরব।
আমি ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবো।
মহুয়ার মাদক মাদক ঘ্রাণে আমি
অবচেতনে হারাবো ক্ষণকাল।
বসরাইর সৌরভে হবো বিমোহিত
কেটে যাবে কাল মহাকাল।
আমি ফল ফালাদি যথেচ্ছা খাবো
যেমনটা মনে চায়।
বাগানের তল দেশে প্রবাহিত,
ধবল দুধ ও সোনালী মধুর নহর
দেখবো অবাক বিস্ময়ে।
সাকির স্বর্ণ কঙ্কন হাতের পান পেয়ালায়
পান করবো পানিয়,
সফেদ খাটি দুগ্ধ কিংবা
ঘন সোনালী মধু।
প্রিয়তমা সাকিকে নিয়ে
বাগানের প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটবো।
আমার সাথে থাকবে
অনন্ত যৌবনা আনত নয়না পরিচারিকা,
থাকবে জ্যোতির্ময় কিশোর ‘গেলমান’।
সবুজাভ ও নয়নাভিরাম
রেশমের আভরনে থাকবে তারা।
আমি স্বর্গোদ্যান নিয়ে কবিতা লিখবো,
বিহঙ্গের গান শুনে কবিতা লিখবো,
প্রকাশিবো ফুলের সৌন্দর্য শোভা।
নিপুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলবো স্বর্গের প্রকৃতি
নহরের নিরন্তর বয়ে যাওয়া কুলকুল শব্দ মনোলোভা।
হুর গেলমানদেরকে নিয়ে রচনা করবো অমর প্রেমের কাব্য।
আমি সেখানে বরেণ্য হবো, নন্দিত হবো।
অতঃপর হে প্রভু!
আমাকে আবার পাঠিও ভূবনে,
করোনায় মৃত্যুতে আয়ু স্বল্পতার কারণে
আদেখা সৌন্দর্যকে দেখার জন্যে।
অসম্পূর্ণ কবিতাকে সম্পুর্ণ করার জন্যে,
অব্যক্ত প্রেমকে প্রকাশিবার জন্যে,
অবশিষ্ট ভালোবাসা নিষ্পেষিত মানুষে বিলাবার জন্যে
পৃথিবীকে বাস যোগ্য করার জন্যে
আমাকে আবার পাঠিও
হে প্রভু! পাঠিও অনন্ত আয়ুতে আমার প্রিয়জনে!
ওকালা, ফ্লোরিডা।
০২ জুলাই ২০২১।