Category:চিরায়ত উপন্যাস
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
কাঞ্চন কীর্তনওয়ালীর জ্ঞান ছিল টনটনে। ক্ষয়-রোগের রোগী; আন্ত্রিক ক্ষয়রোগ। প্রথমটা হয়েছিল পায়ের হাড়ে; ডাক্তাররা বলেছিলেন টি বি অফ বোস্; কলকাতার মেডিকেল কলেজের ডাক্তারেরা পাখানা হাঁটুর নিচে থেকে কেটে দিতে চেয়েছিলেন-কিন্তু তাতে কাঞ্চনমালা রাজী হয় নি। আলট্রা-ভায়লেট রে দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছিল-তাতে ফল হয় নি-তারপর করেছিল হোমিওপ্যাথি; সেও যখন নিষ্ফল হল তখন ক্ষতের চিকিৎসাটাকে বড় করে চাঁদসীর শরণাপন্ন হয়েছিল। চাঁদসীর চিকিৎসায় ক্ষতের মুখটা প্রায় বন্ধ হয়ে এল, ক্ষয়রোগ তার আক্রমণ স্থানান্তরিত করলে পেটে। দেড় বৎসর রোগভোগ। শরীর শীর্ণ হয়ে বিছানার সঙ্গে মিলিয়ে যাবার মত হয়েছিল, কিন্তু জ্ঞান বুদ্ধি ছিল সমান সতেজ। বয়স কাঞ্চনমালার বেশী হয় নি-বছর সাঁইত্রিশ আটত্রিশ। সে কয়েকদিন ধরে বুঝছে দিন তার বেশী নেই-বোধ করি সেই কারণে কীর্তনগায়িকা কাঞ্চন তার বিশ্বাসমত নাম করে যাচ্ছে-গোবিন্দের।
Report incorrect information