লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি মর্গে আনা হলো এক অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মৃতদেহ। রহস্যের চাদরে ঢাকা এই মৃত্যু, কারণ লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে মুখ আর গোপনাঙ্গ সেলাই করে আটকে দেয়া হয়েছে। আরও বেশি শিউরে তোলা ব্যাপার হলো- লাশটার শরীরের ভেতর কিছু রেখে গেছে হত্যাকারী। এমন কিছু, যা শুধু অস্বাভাবিক নয়... রীতিমতো বিভীষিকাময়! ডাকা হলো লস অ্যাঞ্জেলেস হোমিসাইড স্পেশাল সেকশনের অভিজ্ঞ গোয়েন্দা রবার্ট হান্টারকে। অন্য এক মামলার তদন্ত থেকে সরিয়ে দেয়া হলো এই রহস্যময় কেসের দায়িত্ব। তদন্ত শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যে পাওয়া গেল আরেকটা লাশ। আগের শিকারের মতো এই নারীর শরীরও সেলাই করা... ভেতরে খুনি রেখে গেছে ভয়াবহ স্মৃতিচিহ্ন। প্রতিটি নতুন ক্লু যেন আরও জটিল করে তুলছে পুরো রহস্য। এখানেই থামার পাত্র নয় হত্যাকারী। তার পরবর্তী শিকার কে হবে, কেউ জানে না। এক পর্যায়ে নিখোঁজ নারীদের একটা আলাদা কেসের ব্যাপারে জানতে পারল রবার্ট। সেই কেস নিয়ে কাজ করছে মেধাবী ও নির্ভীক গোয়েন্দা হুইটনি মায়ার্স। রবার্ট ধারণা করল, এই খুনির হাতে বন্দি থাকতে পারে আরও কয়েকজন নারী। কিন্তু কে এই শিকারি? কেন সে এমন নৃশংস কাজ করছে? রবার্ট সত্যের যত কাছাকাছি যেতে থাকে, তত স্পষ্ট হয়- এই খুনি কেবল একজন সাধারণ অপরাধী নয়, তার অতীতে লুকিয়ে আছে এক ভয়ানক বার্তা, যা প্রকাশ পেলে কেঁপে উঠবে পায়ের নিচের মাটি। আর সে থামবে না, যতক্ষণ না তার প্রতিটা শিকার সেই ভয়ঙ্কর বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে পৃথিবীর কাছে। সময় ফুরিয়ে আসছে। রবার্ট হান্টারের সামনে চ্যালেঞ্জ—আরেকটা লাশ আবিষ্কারের আগে এই ভয়ঙ্কর খেলার ইতি টানা।
ইটালীয় বংশোদ্ভূত ক্রিস কার্টারের জন্ম ব্রাজিলে। ইউনিভার্সিটি অভ মিশিগানে সাইকোলজি ও ক্রিমিনাল বিহেভিয়র নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। মিশিগান স্টেট ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নির ক্রিমিনাল সাইকোলজি টিমের সদস্য হিসাবে অসংখ্য অপরাধীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কার্টার, যাদের মধ্যে রয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত সিরিয়াল কিলারও। উনিশ শ' নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে লস এঞ্জেলেসে চলে আসেন তিনি। সুদীর্ঘ প্রায় এক দশক অনেকগুলো রক ব্যান্ডে গিটারিস্ট হিসাবে কাজ করার পর, ফুলটাইম উপন্যাস লিখবেন বলে বিদায় জানান সঙ্গীতাঙ্গনকে। বর্তমানে লন্ডনে বাস করছেন কার্টার। বেস্টসেলিং 'দ্য ক্রুসিফিক্স কিলার'-এর পর 'দি এক্সিকিউশনার' রবার্ট হান্টার সিরিজের দ্বিতীয় উপন্যাস।