ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গাড়ি চুরি ও সংঘবদ্ধ অপরাধ প্রতিরোধ টিমের নিয়মিত অভিযানের প্রেক্ষিতে রাজধানীর উত্তরা থেকে একটি চোর চক্রকে আটক করা হয়। সেই চক্রের নিকট মেলে দামি একটি মোটরসাইকেল। যেটি কি না বেশ কিছুদিন পূর্বে গুল্টু যে বাসায় ভাড়া থাকে, সে বাসা থেকে চুরি হয়েছিল। জিডিমূলে গাড়িটি সনাক্ত করে গুল্টুকে জানায় থানা-পুলিশ।
গুল্টুকে জানানোর কারণ হলো, তার দেওয়া গোয়েন্দা রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযানে নামে এবং গুল্টুর বর্ণিত ধারণা মিলে যায়। চোর চক্রের সর্দার অকপটে স্বীকার করে যে বাসার দারোয়ানের গোজসাজসে ভোরে মোটরসাইকেলটি চুরি করে। কিশোর গুল্টুও বাসার দারোয়ানকে সন্দেহের তালিকায় এনে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিল। মূলত গুল্টুর দেওয়া প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ গাড়িটি উদ্ধার করতে পারে, চোর চক্রকেও সনাক্ত করতে পারে। সেইসাথে গুল্টুর বাসার দারোয়ানকে গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি আনে।
কিশোর গুল্টু যে বাসায় থাকে, সেখানে প্রায়ই চুরি সংঘটিত হচ্ছিল। একদিন তার মাথায় আসে যে চোর চক্রকে ধরতে হবে। তাই সে কাজে নেমে পড়ে। গুল্টুর নিয়মিত গোয়েন্দাগিরির একটি সফলতা এটি। যে কাজটি থানা-পুলিশ করতে পারতো, হয়তো সময় বেশি লাগতো; কিন্তু গুল্টুর দেওয়ার নানা ক্লু, সন্দেহভাজনের নাম ও ঘটনার সঠিক বিশ্লেষণ পুলিশ-প্রশাসনকে কাজটি মোটামুটি সহজ করে দেয়। সর্বশেষ, এই সফলতায় গুল্টু পুলিশের থেকে অভিনন্দন ও পুরস্কার পায়।
‘গুল্টুর চোরধরা অভিযান’ গুল্টু সিরিজের তৃতীয় উপন্যাস। বরাবরের মতো আমার কিশোর পাঠকদের উপন্যাসটি ভালো লাগবে। সেই ভালোলাগা থেকে এই সিরিজের পরবর্তী উপন্যাস লেখার অনুপ্রেরণা জুটবে বলে আশা করি।
মোহাম্মদ অংকন, বর্তমান লেখকদের মধ্যে পরিচিত মুখ। শৈশব-কৈশোরে লেখালেখির হাতেখড়ি। নিয়মিত লিখছেন দেশ-বিদেশের পত্রপত্রিকা, ম্যাগাজিন ও সাময়িকীতে। সাহিত্যের সব শাখাতেই আছে সমান দক্ষতা। দক্ষতা, আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব ও প্রতিশ্রুতিশীলতা ক্রমশ এই লেখককে আগামীর পথ দেখাচ্ছে। বছরব্যাপী নতুন বই প্রকাশের মাধ্যমে পাঠকমহলে চমক সৃষ্টি করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যে এই প্রতিভাবান লেখকের অবাধ বিচরণে মুগ্ধ সবাই।
তিনি ১৯৯৭ সালের ৭ নভেম্বর নাটোরের চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করছেন। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র হওয়ার পরও লেখালেখির সূত্রে ঝুঁকে পড়েন সাংবাদিকতায়। দৈনিক মানবকণ্ঠে সাব-এডিটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও সরকারি চাকরি পাওয়ায় তা আর করা সম্ভব হয় না। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র কম্পিউটার বিভাগে কর্মরত আছেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা: ‘পাপড়ি-করামত আলী পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০১৯’, ‘রূপচাঁদা: অদেখা বাংলাদেশ সেরা গল্পকার-২০১৯’, ‘চয়েন বার্তা সম্মাননা-২০২০’, ‘লিখিয়ে পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০২০’, ‘প্রিয় বাংলা পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০২২’।