আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
‘দ্বৈতাদ্বৈতবাদী’ শিল্পআঙ্গিকে অনুপ্রাণীত হয়ে
ঐতিহ্যবাহী বাংলা বর্ণনাত্মক নাট্যরীতির সঙ্গে চালিত
হয় সাধনা আহমেদের নাট্যরচনা কিন্তু উল্লেখিত
শিল্পআঙ্গিকটি পুরোপুরি মান্য হয়ে ওঠে না তাঁর
রচনায়; তবে নিজ অনুবর্তী হয়ে ভিনড়বপথে তাঁর
শিল্পভ্রমণ হলেও মূল সুরটি অন্তঃসলিলে বহমান থাকে
বলে সাহিত্যসৃষ্টিতে সাধনা আহমেদের স্বাতন্ত্র্যতা
চেনা যায়। বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যপূর্ণ রেখায়
তরঙ্গায়িত হয় তাঁর নাটকসমূহ যেখানে প্রান্তিক
পরিস্থিতিতে পড়া মানুষের জীবনই সবচেয়ে বেশি
প্রতিভাত হয় এবং সঙ্গত কারণেই চরিত্রসমূহের জীবন
বাহিত হয়ে উঠে আসে রাজনীতি সমাজকাঠামো ধর্ম
এবং বিশেষভাবে আসে ‘প্রেম’। প্রেমোপাখ্যানের মধ্য
দিয়ে রূঢ় সত্য এবং বিদ্যমান বৈষম্যের স্বরূপ উন্মোচন
যেন সাধনা আহমেদের একটি নিজস্ব শৈলী। উপরন্তু,
তাঁর লেখনীর প্রাতিস্বিকতায় মানবজীবনের সঙ্গে
বহমান শূন্যতা, বৈষম্য, দারিদ্র্যতা, পীড়ন, নিষ্ঠুরতা
ইত্যাদির অন্তরালে জীবনগভীরের জীবনসত্য ও
ঘটনাপ্রবাহ, প্রচলিত বিশ্বাস এবং যুক্তিবোধের মানদণ্ডে
আঘাত করে এবং প্রান্তিক পরিস্থিতিতে ব্যক্তি হিসেবে
অস্তিত্বশীল হয়ে ওঠে তাঁর চরিত্রেরা তবে
আপাতদৃষ্টিতে স্থানিক হলেও সামগ্রিকতায় ওরা
স্পন্দমান। সমাজভাষার চর্চিত ছক তাঁর লেখায় মান্য
হয় না বলে বিদ্যমান নৈতিকতা সম্পর্কে লেখক হিসেবে
যে সাধনা আহমেদের অবস্থান স্বাতন্ত্র্যসূচক, তা স্পষ্ট।
এছাড়াও, তাঁর লেখায় রাজনীতি এবং ধর্মীয়
সম্প্রদায়ের সহাবস্থান এবং বিপ্রতীপতার চিত্রে,
সমষ্টির অংশ হিসেবে ব্যক্তির বিকাশের গুরুত্বের দিকে
ইঙ্গিত করে।
Report incorrect information