নৃত্যপর জল-ঝর্নার কলকল্লোলে এই আত্মিক অনুষঙ্গসমূহ মূর্ত হয়ে ওঠে। ছন্দের সম্মোহক দোলাচলে লিরিক-লাবণ্য যেন প্রাণ পায়। জেগে ওঠে কোনো বিস্তীর্ণ সবুজ বা ধূসর চর- যেখানে আলো-ছায়ার হেঁয়ালি, জীবনের অপার গল্প, পাওয়া-না-পাওয়ার হাহাকার, আর্তি। ডাক দেয় কোনো স্মৃতিমেদুর অবয়ব বা অনুভব। এভাবেই সমুদয় পঙক্তিসমূহ বাঙময় হয়ে ওঠে। গাণিতিক শুদ্ধতায় আকীর্ণ এই কবিতাগুচ্ছ আপাত-অর্থ ছাপিয়ে-ছাড়িয়ে সোল্লাসে বয়ে যায়। উত্তীর্ণ হয়। শিল্পের অনিন্দ্য জারক রসে অভিষিক্ত হয়। সর্বোপরি দৃশ্যমানতা মাড়িয়ে এক মোহন শুভবোধ এবং মোহন পরিণতি রূপায়িত এক ধরনের স্যাটায়ারে। কেবল অন্তর্গত অনুভূতির যোগান নয়, সমসাময়িক কালপ্রবাহ এবং সমাজ ও রাজনীতি মনস্কতাও হাবিব আহসানের ‘পদ্যজরির ফাঁস’ কাব্যে সুলভ। তা কেবল তাৎক্ষণিকতায় আবিষ্ট নয়, চিরায়ত মানব-মনীষার পরতও ছুঁয়ে যায়।
আবু মুসা চৌধুরী
১২.০১.২০২৫
Report incorrect information